দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে শীঘ্রই। বাঁকুড়া থেকে ভায়া মশাগ্রাম হাওড়া ইন্টারসিটি ট্রেন চালু হতে পারে চলতি বছরেই। পূর্ব রেলের তরফে এই আশ্বাস মিলেছে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন সাংসদ ও একদা রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকা বাসুদেব আচার্য।
সরাসরি হাওড়া যাতায়াতের জন্য বরাবর সমস্যায় পড়েন বাঁকুড়া ও দক্ষিণ দামোদর অঞ্চলের বাসিন্দারা। পাত্রসায়র, সোনামুখী বা ইন্দাসের মানুষজন সড়কপথে দুর্গাপুর গিয়ে সেখান থেকে হাওড়া যাওয়ার ট্রেন ধরেন। ফলে সময় লাগে বিস্তর। এছাড়াও বিকল্প রেল পথে ভায়া খড়গপুর হয়েও যাতায়াত করা যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা বা তারও বেশি রেল যাত্রা। সেই কারণেই ভায়া মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া ট্রেনের দাবি বাঁকুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের। বাসুদেব আচার্য তরফে সেই দাবিই জানানো হয়েছিল পূর্ব রেলের জিএম এর দফতরে। তারই প্রত্যুত্তরে পূর্ব রেলের জিএম সদর্থক বার্তা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাসুদেব আচার্য জানিয়েছেন, জিএম ট্রেন চালানোর আশ্বাস দিয়ে চিঠি দিয়েছেন। বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া লাইনে রায়নগর থেকে মশাগ্রাম অংশটির লাইনের গ্রেডিয়েন্ট বেশ নিচু হলেও একটি ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে তা হাই করতে বিশেষ অসুবিধা হবেনা বলে জানিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার। রেলের তরফে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অপারেশন বিভাগ রেল চালনার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলেও জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে চলতি বছরের মধ্যেই বাঁকুড়া হতে কলকাতার যাত্রীরা নতুন হাওড়া গামী ট্রেন উপহার পেতে চলেছেন।