অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সংগঠিত আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পুনর্বহাল হলেন বরখাস্ত হওয়া ২১ জন কর্মী। আইসিডিএস কেন্দ্র সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সঠিক ভাবে না পাওয়ায় প্রশাসনের তরফে বাঁকুড়ার রাণিবাঁধের ২১ জন আইসিডিএস কর্মীকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, শিশু ও মায়েদের উপস্থিতি, কতজন খাবার পেলেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির এইসব তথ্য ‘পোশান টেকার’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিন জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারের তরফে। বছর দুয়েক আগে এই নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনও প্রয়োজনীয় স্মার্ট ফোন বা ইন্টারনেট সংযোগের খরচ দেওয়া হয়নি। বারিকুল, রাওতোড়া প্রভৃতি এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগও দুর্বল। তাছাড়া অনেক আইসিডিএস কর্মী স্মার্ট ফোন ব্যবহারেও অভ্যস্ত নন। ফলে খাতায় সমস্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করা হলেও, অ্যাপের মাধ্যমে অনেকেই তথ্য পাঠাতে সমর্থ হননি। এরপরেই প্রশাসনের তরফে ২১ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়।
এরপরেই আন্দোলনে নামে পশ্চিমবঙ্গ আইসিডিএস কর্মী সমিতি। কর্মীদের অভিযোগ, বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ডিম ও সবজির টাকা বাকি পড়েছে। দোকানে ধার করে চালালেও এখন অনেকেই ধার দিতে চাইছেন না। আন্দোলনের চাপে ২১ জন কর্মীর বরখাস্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ সেপ্টেম্বর মাসের তাঁদের প্রাপ্ত বেতনে বকেয়া মাসের বেতনও দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সেই মর্মে রানিবাঁধে মিছিল করেন অঙ্গনওয়ারি কর্মীরা। সিডিপিও-র কাছে ডেপুটেশনও জমা দেওয়া হয়।