বুধবার সবং এর নাঙলকাটা কেলেঘাই নদীর পাড়ে বৃহৎ সমাবেশ বামেদের৷ কেলেঘাই, কপালেশ্বরী, বাগুই নদী ও বার চৌকা বেসিন সংস্কার প্রকল্পের অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করা, কৃষি-কৃষক বাঁচনো সহ একাধিক দাবিতে এই সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল সারা ভারত কৃষক সভার তরফে।
এই দিন সবংএর নাঙলকাটাতে বামেদের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার, সাংসদ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ কৃষক সভার নেতৃত্ব বৃন্দ। তাদের অভিযোগ, নদী সংস্কারের বরাদ্দ হওয়া ৮৫০ কোটি টাকার কাজ বন্ধ করে সেই টাকা লুঠ হয়েছে৷ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুসারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়। নদীর চর থেকে অবৈধ ইট ভাটা ও মেছো ভেড়ি উচ্ছেদের দাবিও জানানো হয়৷ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার, সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, সুশান্ত ঘোষ, নিরঞ্জন সিহি, দুই মেদিনীপুর জেলার কৃষক সভার জেলা সম্পাদক মেঘনাদ ভূঁইয়া ও সত্যরঞ্জন দাস প্রমুখরা।
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য নিজের বক্তব্যে মাননীয়া সম্বোধনে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ তিনি বলেন, জনগনের করের টাকায় ক্লাবকে বিতরন করা বেআইনি। তিনি অভিযোগ করেন, দূর্নীতি আর দূর্বৃত্তায়ন এখন রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে। লড়াই চলছে চোরদের জেলে ভরার জন্য ও মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এক জন মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে পরিবারে ইডি সিবিআই কেন যায়। বামেদের অভিযোগ, নদী সংস্কারের জন্য দুই দফার সাড়ে আটশ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়া সত্ত্বেও কাজ হয়নি। এমনকি নদীর গজিয়ে উঠেছে বেআইনি ভেড়ি ও ইট ভাটা ফলে বন্যার প্রবণতা বাড়ছে বলেও অভিযোগ আনা হয়।
অমল হালদার অভিযোগ করেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে ১২৮ জন দেনাগ্রস্থ কৃষক ঋণের চাপে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। তৃণমূলের রাজত্বে সারা রাজ্যে সাড়ে চারশ অধিক কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।