চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ক্যানসার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ উঠলো সাঁকরাইল থানার ওসির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত তুঙ্গাধূয়া গ্রামে। গুরুতর আহত অবস্থায় বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত তুঙ্গাধূয়া গ্রামের জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতো। বিজেপির অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই পুলিশের তরফে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শুভঙ্করবাবু মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার না করায় একাধিকবার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সাঁকরাইল থানার ওসি এবং মঙ্গলবার গ্রামে এসে তিনি মারধর করেন বিজেপি প্রার্থীকে।
আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর ভাইপো সৌমেন মাহাতোর অভিযোগ, “মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই পুলিশ হুমকি দিচ্ছে। মাঝ রাতে বাড়িতে এসেছে মহিলা, বাচ্চাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। ভোটে না লড়তে চাপ দিচ্ছে। সাঁকরাইল থানার ওসি প্রার্থী তুলে নিতে হুমকি দিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “আজ সকালে গ্রামে এসে পুলিশ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির প্রার্থীকে মারধর করছিল। কাকু সেখানে যান। সেই সময়েই সাঁকরাইল থানার ওসি তাঁকেও বেধরক মারধর করেন। ওনার আগেই গালে ক্যানসারের অপারেশন হয়েছিল। মারের ফলে রক্ত পড়ছে। পেটেও লাথি ঘুষি মারা হয়েছে। হাঁটতে পারছেন না।” সাঁকরাইল থানার ওসির বিরুদ্ধে আহত বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোর অভিযোগ, “উনি তৃণমূল জেতানোর ঠিকা নিয়েছেন। প্রত্যেক প্রার্থীর বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন, হুমকি দিচ্ছেন। কোনরকমে লুকিয়ে মনোনয়ন জমা দিই। তারপর বাড়িতে এসে হুমকি দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “আজ সকালে এসে উনি প্রথমেই গালে চড় থাপ্পড়, কোমরে লাথি মারেন। কেস দেওয়ার হুমকি দেন। মনোনয়ন তুলে নিতে বলেন।”