বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে নিজেই নিজের বিয়ে রুখে দিল দশম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী। শালবনীর মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের সেই অসমসাহসী ছাত্রীকে সম্বর্ধনা জানালেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক চিন্তা প্রকাশ করেছেন জেলার নাবালিকা বিবাহের সংখ্যা নিয়ে৷ নিজে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনার ও নজরে রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি৷ তারই মধ্যে নিজেই নিজের বিবাহ রুখে সাহসিকতার পরিচয় দিল মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্রী বাসন্তী টুডু। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শালবনী ব্লকের দেউল কুন্ডার বাসিন্দা বাসন্তী নিজেই স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাব ‘অনন্যা’র সদস্যা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তারই বিবাহ স্থির করেন পরিজনেরা৷
কিন্তু সাহসিনী বাসন্তী বাড়ির প্রস্তাব মেনে না নিয়ে নাবালিকা অবস্থায় বিবাহ স্থির করার প্রতিবাদ জানায়৷ তার সিদ্ধান্ত মান্য না করা হলে স্কুল ও প্রশাসনে খবর দেওয়ার কথাও জানায় সে৷ তার প্রতিবাদে কাজ হয়। বাড়ির লোকেরা তার প্রস্তাব মেনে নেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও বাসন্তীর বাড়ি গিয়ে এই বিষয়ে বোঝান। এরপর মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের পক্ষ থেকে কন্যাশ্রী ক্লাব, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা বাসন্তীকে সম্বর্ধনা জানায়। বাসন্তী জানিয়েছে, সে আশা করবে তার প্রতিবাদ অন্যান্য ছাত্রীদের নাবালিকা অবস্থায় বিবাহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে উৎসাহিত করবে৷ বাসন্তীর পদক্ষেপকে দৃষ্টান্তমূলক বলে অভিহিত করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।