চাকরি দুর্নীতি প্রসঙ্গে সোমবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় নাম না করে ‘দাদামনি’ সম্বোধনে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরব হন শুভেন্দু। এরপর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে তীব্র ভাষায় শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে জবাব দিলেন কাঁথি পৌরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি।
শুভেন্দু অধিকারীকে অখিল-পুত্রের হুঁশিয়ারি, “শুভেন্দু কেঁচো খুঁড়তে চাইছেন, কেউটে বেরিয়ে আসবে!” তাঁর বক্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারীর যাঁরা চুল দাড়ি কাটেন তাঁরা প্রাইমারি শিক্ষক, তাঁর গাড়ির যাঁরা ড্রাইভার ছিলেন তাঁদের পরিবারেও প্রাইমারি শিক্ষক, তাঁর যাঁরা সিকিউরিটি ছিল তাঁদের তিনি সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন।” তাঁর আরও অভিযোগ, “যে তিনটি ব্যাঙ্কে তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ সেই ব্যাঙ্কগুলিকে ঘিরে, লাখ লাখ টাকায় চাকরি বিক্রি হতো! কাঁথি শহর কেন, জেলা কেন গোটা, সারা রাজ্যের মানুষ জানেন কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কে কি পরিমান টাকা নিয়ে তিনি চাকরি দিতেন!”
সুপ্রকাশ গিরির কটাক্ষ, “দুর্নীতির অভিযোগ শুভেন্দু অন্যকারো বিরুদ্ধে করছেন এটা ওনার মুখে মানায় না! তিনি নিজে চোর তাই অপরকে চোর চোর ডেকে নিজের গা ঢাকার চেষ্টা করছেন।” শুভেন্দুর বাড়ির কাজের লোক, ড্রাইভারদের সম্পত্তির হিসাব খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন সুপ্রকাশ। তাঁর আরও অভিযোগ, “শুভেন্দু অধিকারী ২০১১ থেকে দুর্নীতির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িত রয়েছেন। সরকারকে ব্যবহার করে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল থেকে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, সর্বত্রই টাকা লুঠ করেছেন তিনি। কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিত্যক্ত ছাই বিক্রি করেও তোলা তুলেছেন।” ২০১২ সালে শুভেন্দু কাঁথি পুরসভায় বসে ৩৯০০ জনকে প্রাইমারিতে চাকরি দিয়েছিলেন দাবি করে তদন্তের দাবি করেছেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ। শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে তিনি পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, “পয়সা নিয়ে চাকরি হয়েছে একটা নাম তিনি প্রকাশ করুন, যদি প্রমাণ করে দিতে পারেন আমরা রাজনীতির ময়দান থেকে বিদায় নেব।”