কলকাতার পণ্ডিতিয়া রোডের একটি ফ্ল্যাটকেও অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বলে মনে করা হচ্ছে। সেটি রয়েছে বেনামে। উল্লেখ্য, গত সোমবার ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনে হাজির হয়েছিলেন ইডি-এর গোয়েন্দারা ৷ তাঁদের কাছে খবর ছিল, এই আবাসনটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৷ পণ্ডিতিয়া রোডের ফ্ল্যাটে তালা দেওয়া ছিল। এদিন চাবিওয়ালা ডেকে বানানো হয় নকল চাবি। এর পর সেই চাবি দিয়ে তালা খুলে শুরু হয় তল্লাশি। ইডি ফ্ল্যাটে ঢুকতেই শুরু হয় জল্পনা। এবার কি তাহলে এই ফ্ল্যাট থেকেও উদ্ধার হবে গুপ্তধন? পণ্ডিতিয়ার আবাসনটিকে ঘিরে রয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তহবিল তছরুপ মামলায় তদন্তের জন্য দিল্লির হেরাল্ড হাউজে ইয়ং ইন্ডিয়ানের অফিস সিল করে দিয়েছে। পাশাপাশি এআইসির সদর দফতরের বাইরেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেসব নিয়েও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের রাহুল বলেন, আমরা ভয় পাব না। আমরা নরেন্দ্র মোদিকে ভয় পাই না। ওরা যা খুশি তাই করতে পারে। এটা কোনও ব্যপার না। আমার দায়িত্ব জাতি এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। দেশের সম্প্রীতি বজায় রাখা। আমি সেই কাজ চালিয়ে যাব।’তবে কংগ্রেস যতই দাবি করুক, ইডি আধিকারিকরা মানতে নারাজ যে ইয়ং ইন্ডিয়ান একটি অলাভজনক সংস্থা। এর সঙ্গে অর্থ উপার্জন ও তহবিল তছরুপের কোনও সম্পর্কই নেই।
চারদিনের সফরে আজ দিল্লি গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দমদম বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। ইডির একের পর এক হানায় দুর্নীতির জাল খুলছে। নিজেকে এবং ভাইপো অভিষেককে বাঁচাতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। বিজেপির এই কটাক্ষের জবাব দিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ঘৃণ্য রাজনীতি করা ছাড়া মানুষের হৃদয় থেকে মুছে যাওয়া বিজেপির আর কোনও কাজ নেই। মমতার মতন একজন নেত্রী দিল্লি যাবেন এটাই স্বাভাবিক। সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।