প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব নয়, বলে আদালতে স্বীকার করে নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলার শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের এই স্বীকারোক্তি।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পৃথক ভাবে আদালত অবমাননার মামলা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরি ওরফে ডালু। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়নি। সেই সঙ্গে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য গত ১৩ এবং ১৫ জুন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, নির্বাচন কমিশন তা পালন করেনি বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই বিষয়েই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট।
সোমবার সেই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। এজলাসে কমিশন জানায়, আদালতের নির্দেশ মতো ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মেলেনি। কেন্দ্র ৩৩৭ কোম্পানি পাঠানোর বিষয়ে জানালেও এখনও পর্যন্ত ১১৩ কোম্পানি বাহিনী এসে পৌঁছায়নি। সেই কারণে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, নির্বাচনে ৬১ হাজার ৬৩৬ টি বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ৪৮৩৪টি। স্পর্শকাতর বুথগুলিতে অতিরিক্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে। আপাতত ভোটারদের আস্থা বৃদ্ধি এবং এলাকায় টহলদারির জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।