ChatuBabu LatuBabu Puja : কলকাতার বাবুয়ানির সাক্ষ্য বহন করে ছাতুবাবু-লাটুবাবুর দুর্গাপুজো

ChatuBabu LatuBabu Puja : কলকাতার বাবুয়ানির সাক্ষ্য বহন করে ছাতুবাবু-লাটুবাবুর দুর্গাপুজো

কলকাতার (Kolkata Puja) বনেদী বাড়ির পুজোগুলিতে (Bonedi Barir Durga Puja) আজও বিগতকালের ইতিহাস। সেই আদি কলকাতার বাবুয়ানির সাক্ষ্য বহন করছে বিখ্যাত ছাতুবাবু লাটুবাবুর দুর্গাপুজো (Chatubabu Latubabu Durga Puja)। বিডন স্ট্রিটের রামদুলাল নিবাস তথা ছাতুবাবু লাটুবাবুর বাড়িতে শুরু হওয়া শতাব্দী প্রাচীন এই দুর্গাপুজো (Durga Puja) আজও হয়ে চলেছে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিক। সদ্য স্বাধীন আমেরিকার সঙ্গে ইংরেজ শাসিত ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত সুদৃঢ় হয়। কলকাতার বুকে আবির্ভূত হয় একদল বেনিয়া গোষ্ঠী। যারা এই বাণিজ্যে সহায়ক হয়ে ওঠে। তেমনই এক বেনিয়া হাটখোলা দত্তবাড়ির মদনমোহন দত্তের কর্মচারী ছিলেন রামদুলাল দে। পরে নিজেই ব্যবসা শুরু করেন তিনি। ব্যবসায়িক বুদ্ধির জেরে ফুলে ফেঁপে ওঠেন রামদুলাল। বিডন স্ট্রিটের বাড়িটি তিনিই নির্মান করান। শুরু করেন দুর্গাপুজো। সেই পুজোই বিখ্যাত হয়ে ওঠে তাঁর দুই সন্তান ছাতুবাবু এবং লাটুবাবুর সৌজন্যে। রামদুলাল বিস্তর সম্পত্তি রেখে যান। আশুতোষ দেব ওরফে ছাতুবাবু এবং প্রমথনাথ দেব ওরফে লাটুবাবু খুবই শৌখিন মানুষ ছিলেন। বুলবুলির লড়াই, পায়রা ওড়ানো, বাইজি নাচ প্রভৃতি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। পুজোয় সময় আমোদপ্রমোদে ভরে থাকতো তাঁদের আমলেই আকারে ও বপূতে বিস্তৃত হওয়া বাড়িটি। বলা হত, “পুজোয় গোটা কলকেতার নেমত্তন্ন ছাতুবাবু লাটুবাবুর বাড়িতে!” কলকাতার বাবু কালচারের অন্যতম প্রতিভূ ছিলেন তাঁরা।

আরও পড়ুন:  Shovabazar Rajbari Puja : শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজো ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাঁকজমকের মিশেল

এখন সেই ছাতুবাবু লাটুবাবুর বাড়ি শরিকি বিবাদে বিভক্ত। দুর্গাদালান আর বিখ্যাত ঝাড়বাতি টুকুই রয়ে গেছে৷ আর রয়েছে পুজোর শতাব্দী প্রাচীন রীতিনীতি। রথের দিন কাঠামো পুজোর পর প্রতিপদ থেকে শুরু হয় পুজো। প্রতিপদ থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত গৃহদেবতা শালগ্রাম শিলার পুজো করা হয়। তৃতীয়াতে দেবীকে আসনে বসানো হয়। পুরাণের বিধি মেনে শাক্ত শৈব এবং বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। কিন্তু পুজোয় থাকে না লক্ষ্মী সরস্বতী। পদ্মের উপর থাকেন দেবী দুর্গার দুই সখী জয়া, বিজয়া। আঁখ, চালকুমড়ো, শসা বলি হয় পুজোর তিন দিন। বাড়ির মহিলারা করেন কুমারী পুজো। সন্ধি পুজোয় জ্বালানো হয় ১০৮ প্রদীপ। দেবীর সঙ্গে পঞ্চদেবতা নবগ্রহ এবং ৬৪ দেবদেবী পুজো পান। অষ্টমীতে মহাভোজের আয়োজন করা হয়। দশমীতে ঘট বিসর্জনের পর দেবীকে অপরাজিতা রূপে পুজো করা হয়। প্রাচীন রীতি মেনে আজও বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন শহরের ব্রাহ্মণ এবং পণ্ডিতদের বিশেষ দান করা হয়।

আরও পড়ুন:  Burdwan Puja : হরগৌরী রূপে গোস্বামী মতে বড়শুলের দে বাড়িতে পুজো পান দেবী

 

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ