শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। শেষ মুহূর্তের সাজসাজ রবে চলছে অন্তিম ব্যবস্থাপনা। তার আগে গঙ্গাসাগরে পৌঁছে গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতি বছরের মতোই মকর সংক্রান্তির স্নানে হবে গঙ্গাসাগর মেলা। পুন্যার্থী সমাগম হতে চলেছে বিপুল। সতর্ক রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে গঙ্গাসাগরে গিয়ে একের পর এক ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিখ্যাত মন্দিরগুলো সম্পর্কে দেশ বিদেশের দর্শনার্থীদের অবহিত করতে তারাপীঠ, কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর ও জহুরা কালীবাড়ি এই পাঁচ মন্দিরের আদলে প্রতিরূপ তৈরি করা হয়েছে। তার উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা করেছেন, গঙ্গাসাগরে স্নানে এসে অর্থাৎ ৮ থেকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে কোনও মানুষ যদি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান, তাহলে তাঁর পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা বিমার সুবিধা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, কুম্ভমেলার সবটা খরচ কেন্দ্র দেয়। আর গঙ্গাসাগরের ১ পয়সার বাতাসাও দেওয়া হয় না। সব খরচটাই রাজ্য সরকারকে করতে হয়। বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি হেলিপ্যাড এবং কামারহাট সেতুর উদ্বোধন করেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘মুড়িগঙ্গার উপরে একটা সেতু প্রয়োজন। কিন্তু, এর খরচ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তা কী ভাবে করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
মেলার জন্য মন্দির সংলগ্ন এলাকায় পাকা রাস্তা, আলো, তীর্থযাত্রী নিবাস, বিশ্রামাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১০ হাজারের বেশি স্থায়ী শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। কাকদ্বীপের লট-৮ এ একটি নতুন জেটি তৈরি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য মোতায়েন রয়েছেন সুন্দরবন জেলা পুলিশ, গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানা, হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানা, কেন্দ্রীয় বাহিনী। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বিনামূল্যে কিউ আর কোড রিস্ট ব্যান্ড বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলার বিপুল জনসমাগমে কেউ হারিয়ে গেলে এর মাধ্যমে তার অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
রিপোর্ট : অর্পণ ভট্টাচার্য্য, গঙ্গাসাগর