নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার নতুন রহস্য। এক ‘রহস্যময়ী’ নারী চরিত্র হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের আগমন। সেই সঙ্গে আরও চমক। ইডি সূত্রের দাবি, তাঁর কাছে নাকি গচ্ছিত আছে ১০০০ কোটি টাকা!
ধৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ বৃহস্পতিবার দাবি করেন, ‘যা টাকা আছে, সব হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি গোপাল দলপতির স্ত্রী।’ এর পর থেকেই রাজ্য উত্তাল ফের এক নারী চরিত্রকে নিয়ে। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের বাসিন্দা গোপাল দলপতির দমদমে কোচিং সেন্টার ছিল। দমদম ছেড়ে বেহালায় চলে আসেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে যুবনেতা কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল সহ নিয়োগ দুর্নীতির অন্যান্যদের পরিচয় হয়। ২০১৬ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ। সূত্রের দাবি, চাকরি দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়।
এবার আসেন হৈমন্তী চরিত্র। আধিকারিকেদের ধারনা, গোপাল ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় আসলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে লিভ-ইন করতেন। সেই পরিচয় দিয়েই তারা টালিগঞ্জে ফ্ল্যাট কিনে থাকতে শুরু করেন। যদিও কুন্তল সহ অনেকের দাবি তিনি গোপালের স্ত্রী। অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তাঁর কাছে গচ্ছিত রাখা হত এবং তিনি সেই টাকা প্রযোজনা সংস্থায় ব্যবহার করে থাকতে পারেন। হৈমন্তী টলিউড জগতেও পরিচত। অভিনয় করেন ‘অচেনা উত্তম’, ‘জাল’ এবং ‘আনটোল্ড’ নামে তিনটি ছবিতে। দাবি, মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত হৈমন্তীর সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের প্রভাবশালী অংশের যোগাযোগ রয়েছে। স্বামী গোপাল দলপতির সঙ্গে হৈমন্তী ডজন খানেক কোম্পানি খুলে সেগুলির মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলেও সন্দেহ। এখনও পর্যন্ত তাঁদের সন্ধান মেলেনি। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।