Election Commissioner : রাজীব সিনহাকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের, দায়িত্ব সামলাতে না পারলে পদ ছাড়ার বার্তা

Election Commissioner : রাজীব সিনহাকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের, দায়িত্ব সামলাতে না পারলে পদ ছাড়ার বার্তা

কলকাতা হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। বুধবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ রাজীব সিনহাকে কড়া বার্তা দিয়ে জানালো, দায়িত্ব সামলাতে না পারলে রাজ্যপালের কাছে যেতে। রাজ্যপাল অন্য কাউকে দায়িত্ব দেবেন। প্রকারান্তরে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ইস্তফা দেওয়ার বার্তা দিলেন বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কলকাতা হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আর্জি খারিজ করে শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেই নির্বাচনের আদেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ২২টি জেলার জন্য মোট ২২ কোম্পানি অর্থাৎ ২০০০ আধা সেনা চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রের কাছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়নি, এই অভিযোগে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরি ওরফে ডালু। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

আরও পড়ুন:  Panchayet Election : পুলিশ ও তৃণমূলের সিপিএম প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ, অভিযোগ ঘিরে ধ্বস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

মামলায় বিজেপি আদালতে জানায়, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল। এরপরেই প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম জানিয়েছেন, এই বারের নির্বাচনে গতবারের সমসংখ্যক অথবা তার বেশি বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কেন্দ্রের কাছে বাহিনীর জন্য আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আবেদন করতে হবে বলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “বলতে বাধ্য হচ্ছি, এত কিছুর পরে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।”

আরও পড়ুন:  Panchayet Election : কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ! কমপক্ষে ৮২ হাজার জওয়ান চাই ভোটে, বার্তা হাইকোর্টের

এখানেই শেষ হয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কমিশনার যদি না পারেন তা হলে রাজ্যপালের কাছে যান। তিনি অন্য কাউকে আনবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ। এগুলো আশা করা যায় না।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ