তৃণমূলের দলীয় সাংগঠনিক নির্বাচন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচনের পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকছেন বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং বিশিষ্টজনেরা। সাংগঠনিক নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের চেয়ারপার্সন পদে জয়ী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংগঠনিক নির্বাচনে দলের সাংসদ, বিধায়ক ও বিভিন্ন শাখা সংগঠনের পদাধিকারী-সহ মোট দেড় হাজার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে দিলেন একাধিক বার্তা।
সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে তৃণমূল, সেই বিষয়ে উল্লেখ করে সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল চেয়ারপার্সনের বার্তা, “আপনারা বাংলা সামলান, আর আমাকে বলুন আপনি দেশ থেকে বিজেপিকে হটান।” কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, বাজেটে হিরের দাম কমেছে, মানুষের জন্য একটুও ভাবেনি কেন্দ্র। ডাল-ভাতের কথা ভাবা হয়নি। পদ্ম-সম্মান নিয়েও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, “পদ্মভূষণ রাজনৈতিক দূষণে পরিণত হয়েছে, সন্ধ্যা দিকে অসম্মান করা হয়েছে।”
- Advertisement -
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কিছু বললেই পেগাসাস। পেগাসাস দুর্বিষহ নাভিশ্বাস উঠেছে। অভিষেক-পিকের ফোন ট্যাপ করেছে এটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।’’ নাম না করে মমতার কটাক্ষ, “দুর্যোধন দুঃশাসন এঁদের কুশাসনের জ্বালায় গলায় দড়ি দিত।” কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজ্যপালকেও কটাক্ষ করেন নেত্রী। বলেন, জীবনে একবারও কাউন্সিলর হননি উনি, অথচ সব বিষয়ে পরামর্শ দেবেন বলে ডেকে পাঠাচ্ছেন। কেন ওঁর পরামর্শ শুনবো। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, সারাদিন শুধু বিরক্ত করেন রাজ্যপাল, তাই ব্লক করেছি।
- Advertisement -
দলীয় কর্মীদেরও বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে দলে দলীয় কোন্দলের অভিযোগ একাধিক বার উঠেছে। মমতা বলেন, “দলে কেউ কারও সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াবেন না, দলই শেষ কথা। ঘরকে মজবুত করো। বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হটাতে হলে নিজেদের ঘর সামলান। দু’বছরে নিজেদের এত শক্তিশালী করুন যে ৪২টি আসনই দল পায়।” দলে একটা সামঞ্জস্য থাকবে, দলের একটাই গ্রুপ থাকবে বলেও বার্তা দিয়েছেন তিনি।