অবশেষে প্রায় ৬৫ ঘন্টার টানা তল্লাশির পর সোমবার কাকভোরে ৫ টার কিছু পরে গ্রেপ্তার হলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তিনি গ্রেপ্তার হওয়া শাসক দলের তৃতীয় বিধায়ক।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে তল্লাশি ও জেরার মাঝে শৌচালয়ে যাওয়ার বাহানায় নিজের দুটি মোবাইল পিছনের পুকুরে ফেলে দেন বিধায়ক। এরপর শুক্রবার রাত থেকে পুকুরে জল ছেঁচে ফেলে মোবাইলের খোঁজে পুকুরে শুরু হয় তল্লাশি। স্থানীয় মৎসজীবী ও শ্রমিকদের সাহায্য নেওয়া হয়। রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ একটি মোবাইল উদ্ধার হয়। সেটিকে সনাক্ত করেন বিধায়ক। কিন্তু জেসিবি এনে তল্লাশি চালানোর পরেও অন্যটির সন্ধান মেলেনি। দু’টি পেনড্রাইভ এবং একটি হার্ডডিস্কও পুকুরে ফেলেছিলেন বিধায়ক। সেগুলিরও সন্ধান মেলেনি।
অবশেষে রবিবার রাত ১১:৩০ থেকে বিধায়কের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতিরিক্ত জওয়ান ও রাজ্য পুলিশের কর্মীরা। রাত ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার ৪ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক বড়ঞার বিধায়কের বাড়িতে আসেন। এক প্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদের পর ভোর প্রায় ৫ টা নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। তাঁকে নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন৷ তবে দুর্গাপুরে বিধায়কের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পলাশীপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পর বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূলের তৃতীয় বিধায়ক।