রাজ্যের শাসক দলের পর এবার বিরোধি দল বিজেপির বিরুদ্ধেও উঠল তোলাবাজির অভিযোগ। খড়্গপুর পৌরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মমতা দাসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে স্থানীয় এক বাসিন্দা। তার বক্তব্য, অবৈধ নির্মাণ ‘বৈধ’ করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা চেয়েছেন বিজেপি কাউন্সিল। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছে মমতা দাস। উভয় পক্ষই টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রেলশহর খড়্গপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , সুরেশচন্দ্র দ্বিবেদী নামক এক ব্যক্তি তার বাড়ির চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল বা প্রাচীর তৈরি করছেন। যা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ জানান তারই এক প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর অভিযোগ, ২ বা ৩ ফুট জায়গা না ছেড়েই তাদের দেওয়াল ঘেঁষে প্রাচীর তুলছেন সুরেশ চন্দ্র দ্বিবেদী। অভিযোগ পেয়েই বিজেপি কাউন্সিলর মমতা দাস খড়্গপুর পৌরসভার দুই প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে সুরেশ চন্দ্র দ্বিবেদীর বাড়িতে যান এবং তাকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
তবে সুরেশ চন্দ্র দ্বিবেদীর অভিযোগ, বিজেপি কাউন্সিলর মমতা দাস তার বাড়িতে গিয়ে, তাকে নির্মাণের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলেন। তিনি তা সেখানে অস্বীকার করায় মমতা বলেন, আপনি যেহেতু বেআইনিভাবে কাজ করছেন তাই ১০ লক্ষ টাকা দিলে তবেই কাজ করতে পারবেন। নাহলে কাজ বন্ধ রাখতে হবে।
Medinipur: সূর্যনগর এলাকায় শুরু রাস্তার কাজ, নারকেল ফাটিয়ে উদযাপন এলাকাবাসীর
যদিও, মমতা দাস অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, “মিথ্যে কথা বলছেন ওই ব্যক্তি। আমার সঙ্গে পৌরসভার দুই প্রতিনিধি ছিলেন। আমরা সেদিন সমস্যার সমাধান করতে গিয়েছিলাম। উল্টে উনি আমাদের প্রতিনিধি এবং আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন। যা নিয়ে আমি এর আগেও খড়্গপুর টাউন থানাতে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পৌরসভার প্রতিনিধি এবং আমি বলেছিলাম দু’ফুট জায়গা ছেড়ে পাঁচিল দিতে। কিন্তু, উনি তা শোনেননি। উল্টে আমাদের উপরে মিথ্যে অভিযোগ তুলে মামলা রুজু করেছেন।”
পরবর্তীকালে ঘটনার তদন্তে নামে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। সুরেশের বাড়িতে যান তারা। পুলিশের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করে সুরেশ চন্দ্র দ্বিবেদী। শুরু হয় চরম বাকবিতণ্ডা। শেষ পর্যন্ত, কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ। তবে পুলিশ ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন সুরেশ দ্বিবেদী।