বুধবার পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় জেলা পরিষদের টেন্ডার ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন স্বয়ং এক জন কর্মাধ্যক্ষ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অভিযোগ উঠল দুই জন কর্মাধ্যক্ষরই বিরুদ্ধে। যা নিয়ে কড়া ধমক দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এইদিন প্রশাসনিক বৈঠকে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মামনি মুর্মু টেন্ডার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরাসরি অভিযোগ করেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শুভ্রা মাহাতো ও জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ উজ্জ্বল দত্তর বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, “পূর্ত দফতরের যে টেন্ডার হয়, সেই টেন্ডারটা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শুভ্রা মাহাতো ও জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ উজ্জ্বল দত্ত নিজেদের পছন্দ মতো লোককে দেন।” এখানেই শেষ নয়! মামণি মুর্মু আরও অভিযোগ করেন, তাঁদের মনোনীত ও পছন্দসই ঠিকাদার না হওয়ায় একই টেন্ডার সাত-আট বার হয়েছে।
অভিযোগ শোনার পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। দুই বারের বেশি সেই টেন্ডার অনুমোদন না করার নির্দেশ দিয়ে প্রয়োজনে জেলাশাসক কর্তৃক তদন্তের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। অভিযোগ ওঠা কর্মাধ্যক্ষদের নাম উল্লেখ করে তিনি স্পষ্ট বলেন, “উজ্জ্বল ও শুভ্রা, মেয়েটাকে ধমকাবে না, ধমকালে কিন্তু আমি অ্যারেস্ট করিয়ে দেব।” এরপর তীব্র ভৎসনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কত খাবে গো? কত চাও, কত? তৃণমূল এত দিতে পারবে না, দেওয়ার ক্ষমতা নেই।” মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, ‘কোনও রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা করা হবে না।’