দলীয় নির্দেশ মেনে বুধবার খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন প্রদীপ সরকার৷ তৃণমূল কার্যালয় থেকে বিশাল মিছিল করে এসডিও অফিসে পদত্যাগ করতে এসে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন তিনি৷
তৃণমূলের ২০ জন কাউন্সিলর লিখিত ভাবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে গত সপ্তাহের বুধবার সন্ধ্যায় প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করে খড়গপুর টাউন থানায় প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের ১৫ জন কাউন্সিলর। এরপরেই আসরে নামে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রদীপকে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রদীপ সরকারকে দলের বৃহত্তম কাজে ব্যবহার করব। তাই তাঁকে খড়গপুর পুরপ্রধানের পদ থেকে সরে আসতে বলা হয়েছে।” বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদত্যাগ না করলে প্রদীপের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এরপরেই বুধবার পদত্যাগ করলেন প্রদীপ সরকার।
এইদিন তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় থেকে বিরাট মিছিল নিয়ে এসডিও অফিসে পদত্যাগ পত্র জমা দিতে যান প্রদীপ। হাতে তৃণমূলের পতাকা সহ প্রদীপ ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা দল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ধ্বনি সহ স্লোগান দেন। পদত্যাগের এই মিছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনেকের মতে, দলীয় স্তরে নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে পরোক্ষে শীর্ষ নেতৃত্বকে বার্তা দিলেন তিনি। প্রদীপের দাবি, খড়গপুর পৌরসভায় গত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি তা তাঁর আমলে হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ কাউন্সিলর তাঁর সঙ্গে না থাকায় পদ থেকে সরে যাওয়াও তাঁর নৈতিক দায়িত্ব বলে অভিমত প্রদীপের। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষের সুর বিরোধীদের গলায়। বিজেপির স্লেষ, কাটমানি নিয়ে মতান্তরের জেরেই পদ হারাতে হল প্রদীপ সরকারকে।