মেদিনীপুর শহরের চার দশকের পুরাতন শরৎপল্লী নাগরিক সমিতির দুর্গাপুজো নিয়ে তরজা আদালতের নির্দেশে পিছু হটতে বাধ্য হলেন ২৩ নং ওয়ার্ড এর তৃণমূল কাউন্সিলার চন্দ্রানি দাস।
মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লী নাগরিক সমিতির তরফে অভিযোগ, হঠাৎ নতুন করে শরৎপল্লী নাগরিক সমিতি তৈরী করে দুর্গাপূজা করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন ২৩ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার চন্দ্রানি দাস। নাগরিক উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক শুভাশীষ ঘোষের অভিযোগ, “দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে শরৎপল্লী মাঠে দুর্গাপূজা করে আসছি আমরা। এবার আমাদের পূজা ৪৩ বছরে পদার্পণ করবে। কিন্তু ২৩ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার চন্দ্রানী দাসের নেতৃত্বে কিছু মানুষ নাগরিক সমিতির নাম করে রশিদ বই ছাপিয়ে চাঁদা তুলেছে এলাকার মানুষের কাছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কিভাবে অবৈধ কাজ করতে পারে।”
এই ঘটনার পরেই নাগরিক সমিতির তরফে আদালতে মামলা করা হয় মেদিনীপুর সিভিল কোর্টে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে। নাগরিক সমিতি দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে পূজো করে আসছে, তারাই পূজো করবে। সেই সঙ্গে তাদের উদ্যোগে কোন ভাবে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।
পাশাপাশি শরৎপল্লী নাগরিক সমিতির তরফে কোন সমস্যা জানানো হলে মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানার পুলিশকে হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। এই বিষয়ে ২৩ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দ্রানী দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।