রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে খড়গপুরে চা চক্রে যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের শাসকদলকে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, “উনি কত বছরের এমপি? ১৩ বছর লাগলো ওনার বাড়ি পৌঁছতে। কত বয়স হলে লোকের বুদ্ধি হয়?” শনিবার ডায়মন্ডহারবারে শুভেন্দু অধিকারীর সভাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপি সাংসদের মন্তব্য, “আমি কালকেই বলেছিলাম ওরা গাড়ি আটকাবে, ভাঙবে, মারবে এবং তারাই এটা করেছে।” দিলীপের কটাক্ষ, “আপনার নেতারা বাড়িতে বোম বন্দুক মজুত করবে। রোজ বিস্ফোরণ হচ্ছে। মরছে ওদেরই লোক। নিজেরা মারামারি করে মরছে নয়তো বোম ফেটে মরছে। সারা বাংলাকে কেন বোম, বন্দুক আর বারুদের স্তুপে পরিণত করা হয়েছে। এভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন জিততে চাইছেন। উনি আবার বলছেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। এইসব গল্প বলে লোককে খুন করা হচ্ছে।”
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বহুবার বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দিলীপ। বলেন, “এরা কি গরু ছাগল নাকি এদের কিনব। গরুর দামের থেকেও কম দাম তৃণমূলের বিধায়ক সাংসদদের। এই পচা মাল কেউ নেবে না, একবার নিয়ে আমরা ঠকেছি। আর নেব না ঐসব মাল।” শুভেন্দু অধিকারীকে গদ্দার বলা প্রসঙ্গে তাঁর আক্রমণ, “যার পরিবার পশ্চিমবাংলায় সবথেকে বড় গদ্দার, সেই লোককে গদ্দার বলছে! নিজেদের পরীক্ষা করুন, বংশ পরিচয় দেখুন। দুর্নীতি ছাড়া কি আছে ওদের জীবনে!”