ছিল ‘রুমাল’, হয়েছে ‘বেড়াল’ যদিও ‘চশমা’টি খসেনি। হাওড়া-আদ্রা ‘শিরোমণি’ এক্সপ্রেস, একদা হাওড়া-আদ্রা শিরোমণি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। নাম বদলেছে, কিন্তু বদল হয়নি গতিপথের স্টপেজে বা সময়ে। তথাকথিত ‘এক্সপ্রেস’ এখনও ‘ফাস্ট প্যাসেঞ্জার’ থাকাকালীন দেওয়া স্টপেজ গুলিতেই থামছে। যদিও বদল আছে। বড়সড় বদল এক্সপ্রেস ফেয়ার অনুযায়ী ট্রেনের ভাড়ায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি। সঙ্গে একটি এসি কোচের সংযোজন।
করোনা কালে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরও চালু হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকা কালীন চালু হওয়া রানী শিরোমণির নামাঙ্কিত ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। তারপর দিন কয়েক আগেই রেলের তরফে সেই শিডিউলে হাওড়া-আদ্রা-হাওড়া এক্সপ্রেসের ঘোষণা হয়। বাদ যায় ‘শিরোমণি’ নাম। যা নিয়ে জঙ্গলমহল ও যাত্রীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ উঠতে থাকে। ফলে কিছুটা পিছু হটে রেল কর্তৃপক্ষ। এখন রেলের ওয়েবসাইটে ট্রেনের নাম আদ্রা-হাওড়া ‘শিরোমণি’ এক্সপ্রেস দেখাচ্ছে। স্টেশনগুলিতে ঘোষণাও হচ্ছে ‘শিরোমণি’ এক্সপ্রেস হিসেবে। তবুও স্টপেজে একই রেখে শুধু নামে এক্সপ্রেস করে দেওয়ায় ভাড়ায় বৃদ্ধি সমস্যায় ফেলছে দিন আনা দিন খাওয়া নিত্য যাত্রীদের। ফলে অসন্তোষ বাড়ছে যাত্রী সাধারণের মধ্যে।