আজ হেস্টিংসে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন মিঠুন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) সতীশ ধন্দ। এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করেন মিঠুন। সেখানে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে মিঠুন বলেন, যদি দুর্নীতির কোনও প্রমাণ না থাকে, তবে ঘুমিয়ে থাকুন। আর প্রমাণ থাকলে কেউ বাঁচাতে পারবেন না। এছাড়া এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদেরও পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন তিনি। মিঠুনের কথায়,আন্দোলনকারীরা সত্যিই কষ্ট করছেন। আমাদের উচিত তাঁদের পাশে থাকা। মিঠুন আরো বলেন, ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক আমাদের সঙ্গে ভাল যোগাযোগ রাখছে। ২১ জন তো সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এই প্রসঙ্গে যদিও মিঠুনের এমন দাবিকে গুরুত্ব দিতে চায়নি তৃণমূল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, উনি অদ্ভূত সব কথাবার্তা বলেন। বিধানসভা ভোটের আগে এসে উনি গোখরো-ফোখরো কী সব বলে গিয়েছিলেন। তার ফল কী হয়েছিল, সেটা দেখতে পেয়েছেন। সিনেমার সস্তা ডায়লগ বলা ছেড়ে দিয়ে মূল্যবৃদ্ধি, ইপিএফের সুদ কমানোর মতো জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে মিঠুনকে নজর দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন কুণাল।
এদিন টিটাগড়ে এক বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে ভাষণ রাখতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ফের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি মহারাষ্ট্র ভেঙে ছত্তিসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, বাংলার দিকে নজর দিয়েছে। অত সস্তা নয়। বাংলাকে ভাঙতে হলে লড়তে হবে, বাংলা ভয় পাবে না। ২০২৪-এ বিজেপি আসবে না। কী অঙ্ক, কীভাবে হবে বলতে পারব না, তবে আসবে না।প্রসঙ্গত, রাজ্যে গরুপাচার মামলা থেকে কয়লা পাচার মামলা, নারদ মামলা, এসএসসি দুর্নীতি মামলা-সহ একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলের। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দলের ভাবমূর্তি নিয়ে নির্বাচনে চাপের মুখে পড়তে পারে রাজ্যের শাসকদল।
নানা ঘটনার ঘনঘটায় বুধবার উত্তাল রাজধানী দিল্লি। বিভিন্ন ইস্যুতে একাধিক রাজনৈতিক দল রাস্তায় নেমেছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে এদিনও ইডি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে। তার প্রতিবাদে কংগ্রেস বিক্ষোভ দেখাচ্ছে শহরের রাজপথে। এদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবাদে কংগ্রেস, তৃণমূল পৃথকভাবে সংসদের বাইরে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে। সংসদের বাইরে বিশাল পুলিসি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।