রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মামলায় কড়া মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে ভোট ও ভোটের হিংসা প্রসঙ্গে একাধিক পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “রাজ্য আইনশৃঙ্খলা সামলাতে পারেনি।”
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগে মামলায় রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা তলব করেছিল আদালত৷ সেই সঙ্গে ৫০০০ বুথে পুননির্বাচনের যে দাবি করে মামলা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সেই সব মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, সন্ত্রাস, হিংসা চলছে রাজ্য তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মানুষের জীবনধারণের স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে এবং পুলিশ নিরীহ মানুষকে সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ। এই বিষয়টি আদালত গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।
প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘রাজ্য যদি নিজের নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে না পারে তা হলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে নোট করবে আদালত।” সেই সঙ্গে আদালত জানায়, জয়ী প্রার্থীদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনকে ঘোষণা করতে হবে যে, আদালতের নির্দেশের উপর তাঁদের ফল ও ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের সময়েও এত হিংসা নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করে আদালত। আদালতের মন্তব্য, “প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে। হিংসা নিয়ে কেন এত অভিযোগ উঠছে?”