পঞ্চায়েত ভোটের ‘নিখোঁজ’ তিনটি ব্যালটবাক্স সিল সহ পাওয়া গেল গণনাকেন্দ্রের তালাবন্দি ঘরে। মঙ্গলবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয় মালদার গাজলে। প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিজেপি। গাজলের বিডিও-র গ্রেপ্তারির দাবিতে ব্লক অফিসে তালা দিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা বিডিও-র জন্য কালো গোলাপ ও মিষ্টি ঝুলিয়ে দেন।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য। নির্বাচন ও গণনাকে কেন্দ্র করে শাসক দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিক বার কারচুপির অভিযোগ এনেছে বিরোধী দলগুলি। নির্বাচনের পর গাজলের সালাইডাঙা পঞ্চায়েতের জীবনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৩ নম্বর বুথের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের তিনটি ব্যালটবাক্স নিখোঁজ হয়। বিডিও গত ৯ জুলাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে হয় পুনর্নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূল ৩২৪, বিজেপি ২০৫ এবং নির্দল চারটি ভোট পায়। কিন্তু তারপরে মঙ্গলবার পট পরিবর্তন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে গাজল ব্লকের ডিসিআরসি, স্ট্রংরুম ও গণনাকেন্দ্র ছিল হাজি নাকু মহম্মদ হাই স্কুলে। স্কুল প্রশাসন স্কুল খুললে ২০৭ নম্বর ঘরটি তালাবন্ধ পায়। প্রশাসনের কাছে কোনও সদুত্তর বা তালার চাবি না পেয়ে তালা ভেঙে ত্রিপল দিয়ে ঢাকা তিনটি ব্যালটবাক্স পাওয়া যায়। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, ব্যালন বক্সগুলি জীবনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৩ নম্বর বুথের। ঘটনাকে প্রেক্ষিতে বিডিও, পুলিশ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি।