‘মমতার পুলিশ’ ও মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর, বার্তা সিপিএম’কেও

'মমতার পুলিশ' ও মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর, বার্তা সিপিএম'কেও

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য

সোমবার নেতাই গ্রামে শহীদ স্মরণে কর্মসূচি শুভেন্দু অধিকারীর। প্রথমে লালগড় থেকে নেতাই পর্যন্ত মিছিল করেন তিনি। মিছিলে প্রায় ৭-৮ হাজার বিজেপি কর্মী যোগ দেন। এরপর শহীদবেদীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও মাল্যদানের পর সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। এমনকি নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন সিপিএম-কেও।

সভামঞ্চ থেকে এইদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নেতাই এর জন্য যা কাজ, সেটা আমি করেছি আর যা কাজ বাকি আছে সেটা আমি করব ওরা কেউ কিছু করবে না।” নেতাইবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে নেতাইয়ের আত্মীয়তার সম্পর্ক। তাঁর বার্তা, “মমতার পুলিশ কেন, মমতার চোদ্দ পুরুষও পারবে না আমার সঙ্গে নেতাইয়ের সম্পর্ক কেটে দিতে!” বলেন, “আমি দেখতে চাই ওরা (তৃণমূল) কত বড় হয়ে গেছে, আমার হাতে তৈরি তো! এখানে নাম-নিশান ছিল না ওই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানির। ভাইপোর তো তখন ‘দেখা নাই রে নাই রে’। তিনি তখন দিল্লিতে।” কটাক্ষ, “খেটে মরবে মজুর, হুজুর খাবেন খেজুর।”

আরও পড়ুন:  “মমতা ব্যানার্জিকে বলুন যমালয়ে যেতে, শপথ নিয়েছেন চুরি ছাড়া অন্য কাজ করিব না”, আক্রমণ শুভেন্দুর

শুভেন্দু আরও বলেন, “২০১১ এর ৩০ শে জানুয়ারি আমার বাড়ির অর্জিত অর্থে ইঁট, সিমেন্ট, বালি, গ্রিল লাগিয়ে এই সামান্য শহীদবেদীটা আপনাদের বন্ধু শুভেন্দু অধিকারী বানিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। তুলে দিয়েছিলাম সমস্ত রকমের সাহায্য সহযোগিতা শহীদদের পরিবারের হাতে। কোথায় ছিলেন হালী নেতারা? হুটার বাজিয়ে ঘোরেন!” তিনি অভিযোগ করেন, “২০২২ সালে নেতাইয়ের মানুষ দের ভুল বুঝিয়েছিল। ২০২৩ সালে নেতাইয়ের মানুষ ভালো করে কান মুলে দিয়েছে। এক ঝুড়ি লোক নিয়ে শহীদ সভা হয়েছে।নেতাইয়ের লোক ছিল না। আজকের সভায় যেদিকে চোখ যায় কালো মাথা। কালো মাথা, জোড়া চোখ আজ আমার দিকে। সেদিন ফাঁকা মাঠে সভা। আমি জানি নেতাই আমার সঙ্গে আছে। আর একবার ২০১১ এর আগের খেলা দেখাতে হবে, ভালো করে দেখাতে হবে। আমি ৩০শে জানুয়ারি উদ্বোধন করে দিয়ে গেলাম।” তিনি বলেন, “২০১১ এর ভাতৃদ্বিতীয়ার দিন আমি ঝিটকার জঙ্গলে শহীদ হতাম। হালী নেতারা শহীদদের নাম বলতে পারবেন না। আমি তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় র মত ব্রেক ডাউন হতে পারবো না। লেখা দেখেও পড়বো না।” এরপর উনি নিজেই সমস্ত শহীদদের নাম মুখস্ত বলেন। বলেন, “হালী নেতারা নেতাইয়ের ইতিহাস জানে না। সামনে পেছনে পুলিশ নিয়ে চলে। ‘পুলিশ বাবা পার করেগা’!”

আরও পড়ুন:  তৃণমূল থেকে বিজেপিতে একাধিক নেতা, ‘দলের কেউ নয়’ বক্তব্য তৃণমূলের

নাম না করে সিপিএম-কেও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা। বলেন, “যাঁরা ১০-১২ বছর জেল খেটে ফিরে এসেছেন, তাদের প্রতি আমার বক্তব্য, খুব ভদ্র থাকুন, ভালো থাকুন। বেশি আর লাল ঝাণ্ডা নিয়ে উৎপাত করবেন না। এখন সব গেরুয়া ঝান্ডা হয়ে গেছে। আপনারা পারবেন না তৃণমূলকে টাইট দিতে, আমরা ছাড়া কেউ পারবে না। আপনারা হঠাৎ করে ১২ বছর জেল খেটে এসে লাল ঝাণ্ডা ধরে ‘ইনক্লাব জিন্দাবাদ’ এসব করতে যাবেন না। যেদিন বিপদে পড়বেন, পার্টি আপনাদের পাশে থাকবে না।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ