পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুরের (Daspur) নাড়াজোল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর ৬০০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এই পুজো যতটা প্রাচীন ততটাই ঐতিহ্যবাহীও বটে। কিন্তু এত বছর পরেও পুজোর সুপ্রাচীন রীতিনীতি আজও বর্তমান। এখনও পুজো থেকে ব্রাত্য মহিলারা।
রাজবাড়ির পারিবারিক ইতিহাস থেকে জানা যায়, বাংলার ৮২০ বঙ্গাব্দে অষ্টধাতুর দূর্গা মূর্তিতে পুজোর প্রচলন করেন বর্ধমান রাজার নায়েব উদয়নারায়ন ঘোষ। কথিত আছে, তিনি মেদিনীপুর জেলায় শিকার করতে এসে দাসপুরের নাড়াজোল জঙ্গলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখেন৷ তিনি দেখেন, একটি বক তাড়া করছে একটি বাজপাখিকে। জনশ্রুতি, এরপরেই তিনি স্বপ্নাদেশ পান জঙ্গলেই রয়েছে মা দুর্গার অষ্টধাতুর মূর্তি। তিনি সেই মূর্তি উদ্ধারের পর নাড়াজোল এলাকার জঙ্গল সাফাই করে রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠা করেন ও পুজো শুরু করেন।
পুজোর সুপ্রাচীন রীতিনীতি আজও মেনে চলা হচ্ছে এই পুজোয়৷ আজও পুজোয় মহিলারা অঞ্জলি দিতে, প্রসাদ গ্রহণ করতে পারেন না। রাজবাড়ীতে বৈষ্ণব মতে পূজিত হন অষ্টধাতুর মা দুর্গা। পাশাপাশি এখানে রীতি মেনে হয়ে আসছে মোয়াবলি। কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী অনুপস্থিত। প্রতিমার কেবলমাত্র ঘট নিরঞ্জন হয়। এই বছর পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন রাজবাড়ি কতৃপক্ষ। এখানেই অতিথি হিসেবে থেকে পুজো দেখতে, প্রসাদ গ্রহণ করতে পারবেন তারা। পাবেন রাজবাড়ির আতিথেয়তা।