ঝালদা পুরসভার অচলাবস্থা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ঝালদা পুরসভার দায়িত্ব আগামী এক মাস সামলাবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে।
পুরসভা ভোটের পর থেকেই উত্তপ্ত ঝালদা পুরসভা। খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই তদন্ত এখনও চলছে। ইতিমধ্যে দুই নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূল বোর্ডকে সমর্থন করেন। শীলা চট্টোপাধ্যায় যোগ দেন তৃণমূলে। তৃণমূলের পুরপ্রধান হন সুরেশ আগরওয়াল। কিন্তু এরপরেই অন্য ঘটনা। ২ নং ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী, নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু উপনির্বাচনে জয়ী হন। ঝালদা পুরসভার মোট আসন সংখ্যা ১২টি। পুরভোটে ৫ টি ওয়ার্ডে তৃণমূল, ৫ টি ওয়ার্ডে কংগ্রেস ও ২টি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হন। এর মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী শীলা চট্টোপাধ্যায় ফল ঘোষনার আগেই তৃণমূলে যোগ দেন। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে পুরবোর্ড গঠন করে তৃণমূল। কিন্তু তাল কাটে অক্টোবর মাসে।
নির্দল কাউন্সিলর তথা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সোমনাথ কর্মকার এবং ৫ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর পুরবোর্ডে পৌরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে চিঠি দেন। তৃণমূল ছাড়েন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী শীলা চট্টোপাধ্যায়। অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে যান তৃণমূলের পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল। হাইকোর্টে মামলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে ২১ নভেম্বর পুরসভায় আস্থাভোটে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে। আস্থাভোটে জয়ী হয়ে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুরপ্রধান হিসাবে মনোনীত করে কংগ্রেস। অন্যদিকে কাউন্সিলর জবা মাছোয়ারকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। এবার সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট পুরো বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করে পুরুলিয়ার জেলাশাসককে ঝালদা পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব দিল।