চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
মেদিনীপুর পুরসভায় দলীয় কাউন্সিলরদের বিভাজন ও বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। বিক্ষোভরত ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পদত্যাগের দাবি খতিয়ে দেখতে আগামী ২ জানুয়ারি বৈঠকে বসবে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। জেলা ও বিক্ষোভরত কাউন্সিলরদের কাছে তেমনই বার্তা এসেছে দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে। এরপরেই অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেন বিক্ষোভরত তৃণমূল কাউন্সিলররা।
বিগত পুরসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর পুরসভার ২৫ টি আসনের মধ্যে ২০ টি আসনে জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তারপর থেকেই কাউন্সিলরদের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট। এর আগেও ১১ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনে জেলা নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জেলার রাজনৈতিক মহলে এই ১১ জন কাউন্সিলর তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা পন্থী এবং বাকি ৯ জন সৌমেন খান ও জুন মালিয়ার অনুগামী হিসাবে পরিচিত। এবারে পৌরপ্রধান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ, তহবিল নয়ছয় সহ একাধিক অভিযোগ এনে ও পদত্যাগের দাবি জানিয়ে মৌসুমী হাজরা, বিশ্বনাথ পাণ্ডব, মৌ রায়, ডাঃ গোলক বিহারী মাঝি, ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহি সহ সুজয় হাজরা পন্থী ঐ ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলর মেদিনীপুর পুরসভায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভরত কাউন্সিলরদের সঙ্গে পুরপ্রধান সৌমেন খান দেখা করলেও সমাধান হয়নি। এরপর বিকেল সাড়ে ৩ টা নাগাদ রাজ্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ পেয়ে মেদিনীপুর পৌরসভায় পৌঁছন দলের রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ। তিনি দলের বিক্ষোভরত কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলেন। জানানো হয়, এই বিষয় নিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি বৈঠকে বসবেন রাজ্য নেতৃত্ব। অন্যদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেন পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে পুরপ্রধান সৌমেন খান বার্তা দিয়েছেন, “দল আমাকে পদে বসিয়েছে। দল যদি আমাকে বলে দেয় ছেড়ে দিতে, আমি আজকেই ছেড়ে দেবো।”