রহস্য করে বলা হয় ‘চুরি’ হচ্ছে মহাবিদ্যা, অবশ্য ধরা না পড়লে। কিন্তু আদতে চোর ধরা পড়ার পর দেখা গেল মহাবিদ্যার সাথে আদতেই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত সে। রয়েছে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। কিন্তু এমএ ডিগ্রি পকেটে নিয়েও চুরিকেই পেশা করেছে সে।
চুরির ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। ঘাটালে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীর বাড়িতে চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে সৌমাল্য চৌধুরী নামে এক যুবককে। আদতে আসানসোলের বাসিন্দা চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত সৌমাল্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ পাশ। সেই সঙ্গে তিনি খড়গপুরের দক্ষিণ পূর্ব রেলের একজন অস্থায়ী কর্মী। সৌমাল্যর বাবা পূর্ত দফতরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। মা ছিলেন শিক্ষিকা। এর আগেও চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সৌমাল্যকে। জানা গিয়েছে, নেশার খাতিরেই চুরিকে পেশা বানিয়ে নিয়েছেন ঐ যুবক। নিয়েছেন চুরির প্রশিক্ষণও।
কয়েক মাস কয়েক আগে হাওড়া আন্দুলের একটি ফ্ল্যাট থেকে ১০ লাখ টাকা সোনার গহনা চুরির ঘটনায় সৌমাল্যকে পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। এবার ঘাটালে বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মীর বাড়িতে চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে সে। লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরি হয়েছে। সৌমাল্যকে ঘাটাল আদালতে তোলা হলে আদালত পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।