আগামী ২৩ শে জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি এক বর্ণময় ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। কলকাতার দমদমের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে। তেমনই তাঁর নামে রয়েছে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশনও। জংশনটি হল গোমো জংশন। আসল নাম ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস জংশন’।
গোমো স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নেতাজি সুভাষের অন্তর্ধান রহস্য। ১৯৪০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এলগিন রোডের বাড়িতে যান সুভাষচন্দ্র। সেখানে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নজরবন্দি করে রাখে। বাড়ি ঘিরে থাকতো সাদা পোষাকের ব্রিটিশ গোয়েন্দা ও পুলিশ কর্মীরা। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করেন নেতাজি। সাহায্য নেন ভাইপো শিশির বসুর। ১৯৪১ সালের ১৬ জানুয়ারি কাকা সুভাষচন্দ্রের নির্দেশ মতো রাত ০১:৩০ নাগাদ নিজের গাড়ি এলগিন রোডের বাড়ির পিছনের দরজায় আনেন শিশির বসু। সেই গাড়ি চালিয়ে নেতাজিকে গোমোতে পৌঁছে দেন তিনি। গোমো স্টেশন থেকে পেশোয়ারের উদ্দেশ্যে ট্রেন ধরেন বিমা সংস্থার এজেন্ট মহম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে ফেরার সুভাষচন্দ্র বসু। ২০০৯ সালে রেল দফতর গোমো জংশনের সংস্কার করে। তারপরে নেতাজির স্মরণে গোমো জংশনের নামকরণ হয় ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস জংশন’।