গতকাল ছিল আলোর উৎসব দীপাবলি অর্থাৎ কালীপুজো। বিজেপি ক্ষমতায় আসলেই রাজ্যের বেকারদের আঁধার ঘুচবে। তারা ফেল আলোর রোশনাই দেখতে পাবেন। এদিন বালুরঘাটে বিজেপির পার্টি অফিসে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই কথাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
ডিসেম্বরেই তৃণমূল সরকারের পতন , দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত ভোটের নিরিখে এই কথাই শোনা যাচ্ছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মুখে। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে সুকান্ত জানিয়েছেন , ‘আগে তো শুধু পিসি-ভাইপোকে চোর বলতাম। এখন ইডি হলফনামা দিয়ে বলছে তৃণমূলে আরও অনেক চোরই আছে। তাই সবাই যদি জেলে যায় , তাহলে তো সরকার অবশ্যই পড়ে যাবে’।
এছাড়াও সম্প্রতি ভাটপাড়ায় বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক নিষ্পাপ শিশুর। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন , ‘রাজ্যের পুলিশ তো শুধু হরিশ চ্যাটার্জি আর হরিশ মুখার্জি রাস্তায় দুইজনকে পাহাড়া দিতে ব্যস্ত। তাদের আর অন্য কোনদিকে হেলদোল নেই। পশ্চিমবঙ্গ এখন আস্ত বারুদের গোলা হয়ে উঠছে। আর সম্পূর্ণটা হচ্ছে পুলিশের গাফিলতির জন্য। এই সমস্ত বোমা সব পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের বিশেষ করে বিজেপিকে প্রতিহত করতেই মজুত করে রেখেছে তৃণমূল। তার মধ্যে থেকেই ভুলবশত এক একটা বেরিয়ে যাচ্ছে। আর তাতে সাধারণ মানুষ আহত , নিহত হচ্ছেন’।
সেই সঙ্গে সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা এবং বিধায়ক শংকর ঘোষ উত্তরবঙ্গের বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী , শিলিগুড়ির দীর্ঘদিনের মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে বিজয়া এবং দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন। তৃণমূল এই বিষয়কেই কটাক্ষের সুরে প্রচার চালাচ্ছে ‘বিজেপি রাজ্যের সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করতে গেছিল’। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন , ‘আমি আর দিলীপ ঘোষ আগে অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেছিলাম। রাজনৈতিক জগতে উনি আমাদের অভিভাবক। বর্ষীয়ান নেতা উনি একজন। তৃণমূলের সবাই এখন চোর। প্রতিদিনই কেউ না কেউ চোরের তকমা পাচ্ছে তৃণমূলের। তাই এসবের থেকে চোখ ঘোরাতে তৃণমূল বাজার গরম করতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্কের সৃষ্টি করছে’।
উল্লেখ্য , গতকাল প্রধানমন্ত্রী কার্গিল থেকে দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে শত্রুদেশকে কড়া ভাষায় শক্তি প্রদর্শনের কথা বলেছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন , ‘আমাদের দেশ সচরাচর কোন দেশকে আক্রমণ করেনা। চারদিকের ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলো ভারতকে আক্রমন করে। এছাড়াও আগে আমাদের দেশ অস্ত্র অন্যদেশ থেকে আমদানি করত। কিন্তু এখন ভারতের তৈরি অস্ত্রই সেনা বাহিনী ব্যবহার করে। এবং সেই অস্ত্রই বিদেশে রফতানি করছে’।