বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘোষিত হয়েছে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ধার্য হয়েছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে সরকারি কার্যক্রম দিন ৫ টি। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়। সময়সীমা বৃদ্ধি করা উচিৎ বলেও জানানো হয়েছে।
আগামী ৮ জুলাই একদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণা বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে করেন রাজ্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এরপরেই প্রায় একই দাবি নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা করে৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য অত্যন্ত কম সময়, নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের আগে সর্বদলীয় বৈঠক না করা, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রভৃতি একাধিক বিষয়ে বিচারপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবীরা।
আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, মনোনয়ন থেকে ভোটগ্রহণ অত্যন্ত দ্রুততায় করা হচ্ছে। মনোনয়নে কম সময় দেওয়া হয়েছে। ভোটের নির্ঘন্ট নির্বাচন কমিশনের পুনর্বিবেচনা করা উচিৎ। মহকুমাশাসক, জেলাশাসক বা কমিশনের অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভব কিনা চিন্তা ভাবনা করতে হবে। এই বিষয়গুলি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বক্তব্য জানাতে বলেছে আদালত। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্যের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আদালত আরও জানিয়েছে, ভোট গ্রহণ থেকে গণনা সিসিটিভি-র নজরদারিতে করা ভালো। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের কাজে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পূর্বতন নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে বলেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সোমবার এই মামলার পুনরায় শুনানি হবে।