চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
সোমবার ১২ই জুন ছিল মেদিনীপুর জুড়ে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা হেমচন্দ্র কানুনগোর ১৫৩ তম জন্মদিবস। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাস্বরূপ সমগ্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে একাধিক জায়গায় পালিত হল দিনটি।
ভারতবর্ষ তখন ব্রিটিশ শাসনের অধীন। ১৮৭১ সালে ১২ জুন অবিভক্ত বাংলা তথা অবিভক্ত মেদিনীপুরের তদানীন্তন নারায়ণগড় থানার রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতবর্ষের সশস্ত্র সংগ্রামের অন্যতম পথিকৃৎ হেমচন্দ্র কানুনগো। তাঁর জন্মদিন নিয়ে নানান মতপার্থক্য থাকলেও ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে বিপ্লবীর বড় নাতি রণজিৎ কানুনগো এই দিনটিই স্পষ্ট করেন। তারপর থেকে ১২ জুন দিনটি বিপ্লবী নেতার জন্মদিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা হেমচন্দ্রের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়।
বিপ্লবীর জন্মস্থান রাধানগর গ্রামে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিপ্লবীর মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। হেমচন্দ্র কানুনগোর বসত বাড়ির সামনে বড়মোহনপুর ভগবতী দেবী পিটিটিআই-এর উদ্যোগে এবং হেমচন্দ্র কানুনগোর তৈরি বসত বাড়ির দায়িত্বে থাকা গণপতি কানুনগোর সহযোগিতায় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হেমচন্দ্রের মূর্তিতে মাল্যদানের পাশাপাশি তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী আলোচনা করা হয় অনুষ্ঠানে। বিপ্লবীর অন্যতম কর্মস্থান মেদিনীপুর শহরের কেরানীতলায় তাঁর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় জঙ্গলমহল উদ্যোগ এবং কেলেঘাই বাঘুইপাড়ের মিঠা ভাষা চর্চা কমিটির উদ্যোগে। বেলদায় ও খাকুড়দা বাসস্ট্যান্ডে হেমচন্দ্রের মুর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। শশিন্দা সাগর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হেমচন্দ্রের মূর্তিতে মাল্যদান করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
বেলদা, খাকুড়দা এবং রাধানগর গ্রামের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও সাংবাদিক অখিলবন্ধু মহাপাত্র, সাংবাদিক ও কবি বিশ্বসিন্ধু দে, রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা ও সমাজসেবী গৌরাঙ্গ আদক, ভগবতী দেবী পিটিটিআই-এর অধ্যাপিকা টুম্পা গিরি, অধ্যাপক সমর মাইতি ও গনেশ মাইতি, হেমচন্দ্র কানুনগোর পরিবারের অন্যতম উত্তরসূরী গণপতি কানুনগো, অনির্বাণ কানুনগো প্রমুখরা। অনুষ্ঠানে হেমচন্দ্র কানুনগো বিপ্লবী জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়।