চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
কুড়মি সম্প্রদায়ের দাবির বিরোধিতা করে পথে নামলো আদিবাসী সংগঠনগুলি। জঙ্গলমহলের ২৪ টি আদিবাসী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন’-এর ডাকে বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় পালিত হচ্ছে ১২ ঘন্টার বনধ।
কুড়মিদের তফশিল উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, কোড সহ সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালী ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে কুড়মি সমাজের একাধিক সংগঠন। গত ১ লা এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজ ও আরও কয়েকটি কুড়মি সংগঠনের ডাকে শুরু হয় ঘাঘর ঘেরা আন্দোলন। রাজ্য সরকারের কাছে সংশোধিত সিআরআই রিপোর্ট তথা সিআরআই রিপোর্টের জাস্টিফিকেশান কেন্দ্রে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে আন্দোলনকারীদের তরফে। কিন্তু কুড়মিদের দাবির বিরোধিতা করে একাধিক আদিবাসী সংগঠন। এর আগে মেদিনীপুরে একাধিক আন্দোলনও সংগঠিত হয়েছে। কুড়মিদের দাবির বিরোধিতায় সম্প্রতি আদিবাসী সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের তরফে ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার প্রধানত সাঁওতালি সামাজিক সংগঠন, ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের তরফে জেলায় পালিত হচ্ছে বনধ কর্মসূচি। জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বনধের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। দোকান-বাজার বন্ধ, গাড়ির সংখ্যাও রাস্তায় কম। তবে রেল, ওষুধ, অ্যাম্বুলেন্স, দমকল, শববাহি গাড়ির মতো জরুরি পরিষেবাগুলিকে বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এইদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বনধ কর্মসূচি চলবে।
মেদিনীপুর শহরেও পড়েছে বনধের প্রভাব। অধিকাংশ বাস পরিষেবা বন্ধ। মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডে বাসের বিশেষ দেখা মিলছে না। বেসরকারি বাস মালিকদের বক্তব্য, গন্ডগোলের কারণে ও বাস ভাঙচুরের আশঙ্কার পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এর ফলে আতান্তরে পড়েছেন যাত্রীরা। যদিও সরকারি বাস পরিষেবা চালু রয়েছে, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়।