মাছ চুরি আটকাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কতৃক পুকুর পাড়ে ছড়িয়ে রাখা বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে মৃত আদিবাসী দম্পতির বাড়িতে গিয়ে স্বান্তনা ও পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন জেলাশাসক আয়েশা রানি ও পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। মৃতের পরিবারের হাতে মোট ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ চেক তুলে দেওয়া হয় ও মৃত দম্পতির ছেলেকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর ব্লকের মোরখা গ্রামে জামকুণ্ডা নিজের পুকুরে মাছ চুরি আটকাতে পুকুরপাড়ে বিদ্যুৎ বাহী তার ছড়িয়ে রেখেছিলেন স্থানীয় পাঁচখুরি ৬/২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সৈয়দ আলি। এই বিষয়ে স্থানীয়রা তাকে বারংবার সতর্ক করলেও তিনি গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ। বুধবার ভোর বেলা বাপি মান্ডি ও মুগলি মান্ডি নামে আদিবাসী দম্পতির বিদ্যুৎপৃষ্ট মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা তৃণমূল সদস্য সৈয়দ আলির বাড়িতে ভাঙচুর চালান। অবশেষে পুলিশ অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেপ্তা করেছে।
সন্ধ্যায় মৃত দম্পতির বাড়ি যান বিধায়ক দীনেন রায়। এরপরে দম্পতির বাড়িতে যান বিধায়ক অজিত মাইতি, জেলাশাসক আয়েশা রানি ও পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। মৃতের পরিবারের হাতে দুই লক্ষ করে মোট ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ চেক তুলে দেওয়া হয়। মৃত দম্পতির দুই সন্তানের ছোটজন প্রতিবন্ধী। মৃতের বড় ছেলেকে স্পেশাল হোমগার্ড পদে চাকরি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলাশাসক।