করোনা পরিস্থিতির কারনে গত দুইবার ২১ শে জুলাইয়ে ভার্চুয়াল সভা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এটি প্রথম প্রকাশ্য মঞ্চে ২১ শে জুলাই। সেই সভা থেকেই বিজেপিকে চাচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে মঞ্চ থেকে একের পর এক স্লোগান তোলেন তিনি।
বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একদিকে সিবিআই, আরএকদিকে জিএসটি। বিজেপি সবজায়গায় সরকার ভাঙছে এটাই ওদের কাজ। বাংলাতেও সেই চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি।” তিনি বার্তা দেন, “তৃণমূল কংগ্রেস থাকলে ফ্রি তে রেশন পাবেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন, কন্যাশ্রী পাবেন, স্বাস্থ্যসাথী পাবেন, শিল্পীদের পেনশন, সবুজসাথী পাবেন। গ্রাম বাংলার কর্মীদের বলবো মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সারা ভারতে ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে আর বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমে গিয়েছে।”
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারি, “বাংলাকে ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না। প্রয়োজনে দিল্লি ঘেরাও করব। আগামীদিনে নতুন কমিটি তৈরি হলে নতুন প্রকল্প হবে। ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখাবেন না। অবিলম্বে ১০০ দিনের টাকা দিন।” দলীয় কর্মীদেরও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “দলের নামে কেউ চাঁদা তুলবেন না। একুশে জুলাইয়ে দুটি কেস আমার কাছে এসেছে।” তিনি আরও বলেন, “তৃণমূলের নামে কেউ টাকা তুললে সোজা থানায় গিয়ে জানান। তৃণমূল শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। আমি চাই, বিধায়করা রিকশা নিয়ে ঘুরবেন, কর্মীরা সাইকেল নিয়ে গ্রামে গ্রামে জনসংযোগ করবেন।”
কেন্দ্রের সাম্প্রতিক জিএসটি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ও রাজ্যে বিভিন্ন তদন্ত নিয়েও কটাক্ষের সুর তৃণমূল নেত্রীর গলায়। তিনি বলেন, “ইডি, সিবিআই এলে মুড়ি খেতে দেবেন। সঙ্গে একটু তেল দেবেন। বলে দেবেন, এর জিএসটি নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না।” এরপরেই একের পর এক স্লোগান তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “চব্বিশে বিজেপির কারাগার ভাঙো, চব্বিশে মানুষের সরকার আনো।” আরও বলেন, “জয় বাংলা দিচ্ছে ডাক, জয় ভারত বেঁচে থাক।”