রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়। তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি ও গুলিচালনার অভিযোগও উঠেছে। তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। শনিবার সেই ভাঙড়ে এক কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী এসে পৌঁছে গেছে। শুরু হয়েছে রুট মার্চও।
আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। নির্বাচনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনকে কেন্দ্র করে লড়াই গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে অবশেষে ভোট করাতে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ শুক্রবার পর্যন্ত ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শনিবার বেশ কিছু জায়গায় এসেছে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর একাধিক কোম্পানি। জলপাইগুড়ির মালবাজার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, হুগলির সিউড়ি, আরামবাগ, ঝাড়গ্রাম, কোচবিহারের দিনহাটা প্রভৃতি জায়গায় রুটমার্চও শুরু করেছে বাহিনী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের বিপক্ষে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে গেলে আদেশ বহাল থাকে। এরপর কেন্দ্রের কাছে মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদালতে দায়ের আদালত অবমাননার মামলা। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে বিজেপি জানায়, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল। এরপরেই প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম নির্দেশ দেন, এই বারের নির্বাচনে গতবারের সমসংখ্যক অথবা তার বেশি বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কেন্দ্রের কাছে বাহিনীর জন্য আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আবেদন করতে হবে বলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই আদেশ মেনে নিয়ে প্রথমের ২২ কোম্পানির পর আরও ৮০০ কোম্পানি, মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ২২ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে চেয়ে পাঠানো হয়েছে।