রাজ্যে ঘোষিত হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়া। সেই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার রাজ্য জুড়ে জারি রইলো রাজনৈতিক উত্তেজনা। বেশিভাগ জায়গায় সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠলো শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এমনকি ভাঙড়ে ব্লক অফিসের সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ২ ব্লকে চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের আইএসএফ নেতা সাইম কাদিরকে মনোনয়নের ফর্ম দিয়েছিলেন বিডিও অফিসের কর্মী বিদ্যুৎ ঘোষ। অভিযোগ, আইএসএফ নেতাকে মনোনয়নের ফর্ম দেওয়া হল কেন এই প্রশ্ন তুলে ঐ সরকারি কর্মীকে মারধর করেন এক তৃণমূল নেতা৷ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা জানিয়েছেন স্বয়ং বিডিও।
এছাড়া বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থীরা বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ পাত্রসায়রে বিজেপিকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে শনিবার দুপুরে কাঁকরডাঙ্গা মোড়ে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। শাসক দলের বিরুদ্ধে উঠেছে বোমাবাজিরও অভিযোগ।
মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের ডোমকল ব্লক চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বাম ও তৃণমূল। চলে ইঁট বৃষ্টি। লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এক সংঘর্ষকারীকে ধাওয়া করে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ধৃত ব্যক্তি বাসির মোল্লা এবং সে সারাংপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বলে জানা গিয়েছে।