বুধবার শিলিগুড়িতে দলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে শিল্পায়নের প্রশ্নে সিঙ্গুর পর্ব নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘ টাটাকে আমি তাড়াইনি। সিপিএম তাড়িয়েছে।’ আর তারপরে মমতা রে মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন দলের নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেন।
কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যত একথা বলেই রাজ্যে একলাখি গাড়ির কারখানা গরতে চেয়েছিল টাটা। যাকে বাংলায় স্বাগত জানিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বামফ্রন্ট সরকার। কিন্তু জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সিঙ্গুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটানা আন্দোলনের জেরে বাংলা থেকে প্রকল্প গুটিয়ে নেয় টাটা।এরপর কেটে গেছে ১৪ বছর। সিঙ্গুরের সেই জমিতে না মিলেছে শিল্পের সন্ধান। না হয়েছে চাষ।সময় বদলে এখন অন্য সুর সিঙ্গুরের সাধারণ মানুষের মুখে। শিল্প হলে বদলে যেত আর্থিক পরিস্থিতি এমনটাই বলছে আম জনতা।সেই সিঙ্গুর নিয়ে বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য সামনে আসতেই চটেছেন বিরোধীরা। এ নিয়ে অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন,’ইউনেস্কোকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, ভারতের শ্রেষ্ঠ মিথ্যেবাদী রাজনীতিবিদের তালিকা তৈরি করুন, প্রথমেই তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লিখবে।
সবাই দেখেছেন, টাটাকে উত্খাতের পর সিঙ্গুর দিবস পালন করেছিলেন উনি। টাটার তৈরি গাঁথনি, বিল্ডিং সরকারি টাকায় ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কংক্রিটের জঙ্গল উচ্ছেদ করে, সমতল করে সেখানে আলু, ধানের বীজ বন্টন করেছিলেন। বলেছিলেন, কৃষকদের চাষের অধিকার ফিরিয়ে দিলেন। আর টাটা বলেছিল, বন্দুকে ভয় পায়নি তারা। কিন্তু দিদি ট্রিগার টিপে দিলেন। তাতেই ব্যাবসা গোটাতে হল।’