কর্ণগড়ের রানি শিরোমণি গড়কে খাতায়- কলমে হেরিটেজ জোন হিসেবে স্থান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, উৎফুল্লিত নিসর্গ, সুনীল, তন্ময়রা

কর্ণগড়ের রানি শিরোমণি গড়কে খাতায়- কলমে হেরিটেজ জোন হিসেবে স্থান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, উৎফুল্লিত নিসর্গ, সুনীল, তন্ময়রা

কলকাতায় জেলাশাসক ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন একথা। তিনি বলেন, এই কাজ দ্রুত সেরে ফেলতে হবে। সেইসঙ্গে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার নির্দেশ-ও দেন। এ বিষয়ে আগেই খোঁজ রাখছিলেন, মন্ত্রী ড: মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। মমতা নির্দেশ দেন, সমস্ত তথ্য, কাজের বিবরণ যেন মানস ভূঁইয়ার পাশাপাশি সরাসরি তাঁকে জানানো হয়। শুধু তাই নয় জেলাশাসককেও নিয়মিত পর্যবেক্ষণে যেতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দল বারবার গিয়েছে ঐতিহাসিক ধ্বংসস্তূপ পরিদর্শনে। জেলার সমস্ত দফতর, আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিদের আবেদন জানিয়েছিল রানি শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ, ভালোবাসি কর্ণগড়, হেরিটেজ জার্নি সহ বিভিন্ন সংগঠন।

আরও পড়ুন:  এবিটিএ-এর জেলা সম্মেলন সামনেই, জোরকদমে চলছে প্রচার ও প্রস্তুতি

এবিষয়ে স্থানীয় কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ, বিধায়ক জুন মালিয়া, খড়গপুর-মেদিনীপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও বিধায়ক দীনেন রায়ের সঙ্গে দেখা করে নিসর্গ, মুস্তাফিজুর রহমান। সহযোগিতা করেন তন্ময় সিংহ, চিন্ময় দাস, অচিন্ত মারিক, অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়, রিমা কর্মকার, নবনীতা মিশ্র, নবনীতা সাহা প্রমুখ। তাঁরা জনপ্রতিনিধিদের কাছে জানতে পারেন, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছে। মানস ভূঁইয়া ও সাংবাদিক কুণাল ঘোষ আবেদনকারীদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন আগে।

এবার শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রত্নতাত্ত্বিক মর্যাদা পাওয়ার পাশাপাশি হেরিটেজ জোন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে চুয়াড় বিদ্রোহ খ্যাত রানি শিরোমণি গড়।

আবেদন মান্যতা পাওয়ায় খুশি আন্দোলনকারীরা। সূত্রের খবর, ঐতিহাসিক স্থাপত্য গুলি সংস্কার করে তার ঘিরে সংরক্ষণ করা হবে। প্রতিটি স্থাপত্যের সামনে বসবে ফলক। গড়ে ঢোকার মুখে থাকবে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সমৃদ্ধ ফলক।

আরও পড়ুন:  রক্তাক্ত কেশপুর! তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বোমাবাজি, উড়লো তৃণমূল কর্মীর হাত

রানি শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ খুশি এই ঘোষণায়। ধন্যবাদ জানিয়েছে, রাজ্য সরকার ও জেলাপ্রশাসনকে।

এবিষয়ে কুতুরিয়া জুনিয়র হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অরুণাংশু দে বলেন, আনন্দের খবর। আমাদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে রানির আর্কাইভ মূর্তি। এবার অনুরূপ মূর্তি গড়ে প্রতীস্থাপন করা হোক।

খুশি, গবেষক ও আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভকত মহাশয়। তবে তাঁর ২৫ বছরের লড়াই, রানি শিরোমণি ও কর্ণগড় যেন পাঠ্যপুস্তকে স্থান পায়। তিনি মনে করেন, পাঠ্যপুস্তকে স্থান দিলে তবেই রানিকে দেওয়া হবে প্রকৃত স্বীকৃতি। অপেক্ষা করে আছেন তিনি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ