বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের জনসভা থেকে বিগত বাম সরকার ও বর্তমানের বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারকে একযোগে আক্রমন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ‘তুঘলকি শাসন’ চালাচ্ছে বলে কটাক্ষ করে বামেদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেত্রীর তোপ, ‘আগে একটা চিরকুট দিয়ে চাকরি হত। বদলি হত।’
গত কয়েকদিন কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক বার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এসএসসি দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই এর কাছে হাজিরা দিতে হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের কন্যার শিক্ষকতার চাকরি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকেও সিবিআই এর কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই পরিস্থিতিতে জেলা সফরের তৃতীয় দিনে ঝাড়গ্রামের জনসভা থেকে আক্রমন শানালেন তৃণমূল নেত্রী।
এইদিন মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “বিজেপি আজ দেশে তুঘলকি রাজত্ব চালাচ্ছে কয়েকটি কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে। প্রত্যেকের সমস্ত নাগরিক অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করে দেওয়া হচ্ছে। দেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিজেপি দখল করেছে।” এরপরে বামেদের উদ্দেশ্যে তাঁর তোপ, “আগে একটা চিরকুট দিয়ে চাকরি হত। বদলি হত। সিপিএমের ৩৪ বছরে আমি অনেক খোঁজ নিয়েছি। আস্তে আস্তে ‘চ্যাপ্টার ওপেন’ করব। এত দিন ভদ্রতা করে এসেছি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘কাজ করতে গেলে ভুল হয়। তাই সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু বিজেপি যদি ভাবে, গায়ের জোরে, জুলুম করে তৃণমূলকে স্তব্ধ করবে, তা হলে তৃণমূল জব্দ করবে। তৃণমূল এতটাই শক্তিশালী। এখানে হেরেও লজ্জা নেই। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। জিততে হবে। তাই এখন থেকে ওরা মিথ্যা প্রচার করছে। এত বড় রাজ্য। দু’টো-একটা ঘটনা ঘটবেই। তোমাদের রাজ্যগুলো দেখো আগে।’’ সেই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘মনে রাখবেন, দলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দল সকলের ঊর্ধ্বে। আর মানুষ সকলের ঊর্ধ্বে। আমরা ক্যাডার। আর যাঁরা নীচে বসে আছেন, তাঁরা নেতা। এই জন্যই আমাদের দলের নাম তৃণমূল।”