অবশেষে রেল অবরোধ প্রত্যাহার আদিবাসী কুড়মি সমাজের। কিন্তু চলছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে সড়ক অবরোধ৷ ফলে কুড়মি সমাজের আন্দোলনের নবম দিনে এবং রেল অবরোধের পঞ্চম দিনে রেল অবরোধ প্রত্যাহার করা হলেও চলছে ‘ঘাঘর ঘেরা’।
কুড়মিদের এসটি তালিকাভুক্ত করা, কোড সহ সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালী ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে কুড়মি সমাজের একাধিক সংগঠন। গত ১ লা এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজ ও আরও কয়েকটি কুড়মি সংগঠনের ডাকে শুরু হয় ঘাঘর ঘেরা আন্দোলন। ৪ এপ্রিল থেকে অবরুদ্ধ খেমাশুলির ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। বুধবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউরে নিরবিচ্ছিন্ন রেল অবরোধ শুরু করে কুড়মি সংগঠন আদিবাসী কুড়মি সমাজ। অবরোধের কারণে বাতিল হয় প্রায় ৫০০ ট্রেন।
রাজ্য সরকারের কাছে কুড়মি সমাজের দাবি, রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্র সরকারের কাছে সংশোধিত সিআরআই তথা কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট রিপোর্ট অবিলম্বে পাঠাতে হবে। গত বুধবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে সমাজের নেতাদের বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। এরপর রাজ্যের তরফে আন্দোলনকারীদের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তারই মধ্যে আদিবাসী কুড়মি সমাজের তরফে প্রত্যাহার করা হল রেল অবরোধ। সংগঠনের নেতা অজিত মাহাতো জানিয়েছেন, তাঁরা রাজ্যের প্রস্তাব প্রত্যাখান করছেন। নিজেদের মধ্যে আলোচনার পরে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন।
অন্যদিকে রেল অবরোধ প্রত্যাহার করা হলেও পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজ ও অন্যান্য কুড়মি সংগঠনের ডাকে ‘ঘাঘর ঘেরা’ আন্দোলন চলছে। খড়গপুরের খেমাশুলিতে জারি রয়েছে সড়ক অবরোধ। এছাড়া ৮১ গোষ্ঠীর সাইকেল আরোহীরা পুরুলিয়া থেকে করম ডাল নিয়ে চার জেলা পরিক্রমা করে কলকাতায় সিআরআই দপ্তর ঘেরাও ও করম ডাল গাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন, জারি রয়েছে সেই কর্মসূচিও। এখন রেল অবরোধ প্রত্যাহারের পরে কুড়মি সমাজের আন্দোলনের রূপরেখা কি হয় তা দ্রষ্টব্য।