চিটারদের ভিড়ে আদর্শ টিচার! স্কুল বাঁচাতে চপ বিক্রি করছেন ঝাড়গ্রামের প্রধান শিক্ষক

চিটারদের ভিড়ে আদর্শ টিচার! স্কুল বাঁচাতে চপ বিক্রি করছেন ঝাড়গ্রামের প্রধান শিক্ষক

বর্তমানে শিক্ষাদান যখন নেশা থেকে পেশায় পরিনত হয়েছে। টাকার বিনিময়ে নিয়োগের খবর যখন রাজ্য জুড়ে তোলপাড়। ঠিক সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঁচানোর জন্য দিনরাত এক করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঝাড়গ্রামের এক শিক্ষক।

করোনা কালে স্কুল বাঁচাতে হাতে তুলে নিয়েছেন খুন্তি-ছানতা, ভেজে বিক্রয় করছেন চপ সিঙ্গাড়া। বেতন মেটাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের আর স্বপ্ন দেখছেন কোন একদিন আদিবাসী-মূলবাসী শিশুদের জন্য অবৈতনিক স্কুলের প্রতিষ্ঠা করার।

অতিমারী পরিস্থিতিতে তীব্র প্রভাব পড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে। দীর্ঘ প্রায় দুই বছর বন্ধ ছিল স্কুল। কমতে থাকে পড়ুয়া, বাড়তে থাকে স্কুলছুট। সেই পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রাম শহরের এক বেসরকারি নার্সারি স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা মেটাতে পারেননি স্কুলের ফি। বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় স্কুলের শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন। সংকটময় পরিস্থিতি হাল ধরেন ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বেসরকারি স্কুলের বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর প্রধান শিক্ষক তিমির মল্লিক। ঝাড়গ্রাম শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া বাঁধগোড়া পঞ্চায়েতের পুরুষোত্তমপুরে নিজের জমিতে দোকান খুলে নিজেই শুরু করেন চপ-সিঙ্গাড়া, মিষ্টি বিক্রি। নিজেই ভেজে বিক্রি শুরু করেন চপ সিঙ্গাড়া।

আরও পড়ুন:  Jhargram: নিজের হাতে চপ ভেজে বিক্রি মমতার, খুশি দোকানদার ও ক্রেতারা

এরপর ধীরে ধীরে শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে প্রধান শিক্ষকের ‘স্পার্ক ২০২০’ নামাঙ্কিত দোকানের। স্কুলের শিক্ষাকর্মীরা এগিয়ে এসেছেন প্রধান শিক্ষকের সাহায্যার্থে। রাখা হয়েছে কারিগর। এখন স্কুলের ১৫ জন শিক্ষিকা ও ৬ জন শিক্ষাকর্মীর বেতন দেওয়া হচ্ছে দোকানের লভ্যাংশ থেকে।

আরও পড়ুন:  Jhargram: ‘বিজেপি-র নেতা গ্রেপ্তার নয় কেন’, প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিমিরবাবু জানাচ্ছেন, নিষ্ঠাভরে যে কোনও কাজ করলেই সাফল্য আসে। আর তাঁর স্বপ্ন পরবর্তীতে নিজের দোকান লাগোয়া জমিতে আদিবাসী-মূলবাসী শিশুদের জন্য একটি অবৈতনিক স্কুল স্থাপন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ