শুক্রবারও অব্যাহত কুড়মি সমাজের আন্দোলন। ঘাঘর ঘেরা আন্দোলনের সপ্তম দিন। চলছে রেল অবরোধও। বুধবার থেকে জঙ্গলমহলের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব রেল বাতিল করেছে প্রায় ৬০টি ট্রেন। বিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগও।
কুড়মিদের এসটি তালিকাভুক্ত করা, কোড সহ সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালী ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে কুড়মি সমাজ। ১ লা এপ্রিল থেকে সমাজের ডাকে শুরু হয়েছে ঘাঘর ঘেরা আন্দোলন। এরপর বুধবার থেকে শুরু হয়েছে রেল অবরোধ কর্মসূচি। কুড়মি সমাজের দাবি, রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্র সরকারের কাছে সংশোধিত সিআরআই তথা কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট রিপোর্ট অবিলম্বে পাঠাতে হবে। বুধবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে সমাজের নেতাদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এরপর আন্দোলন আরও জোরদার করার ডাক দিয়েছে কুড়মি সমাজ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর লোকাল থানার খেমাশুলি এবং পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেলস্টেশনে বুধবার থেকে চলছে রেল অবরোধ। ঐ দিন থেকে বাতিল হচ্ছে শত শত ট্রেন। ফলে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। জঙ্গলমহলের যোগাযোগের ও জীবিকার অন্যতম মাধ্যম রেল স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় জঙ্গলমহলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জনজীবন বিপর্যস্ত। ফলে কুড়মিদের দাবি নিয়ে অনেকাংশে সহানুভূতি থাকলেও দানা বাঁধছে অসন্তোষ৷ জন জীবনকে সম্পূর্ণ স্তব্ধ করে আন্দোলনের বিরুদ্ধে সমাজমাধ্যমে মুখ খুলছেন অনেক মানুষ। শাসক দলের নেতাদের অনেকে তুলছেন রাজনৈতিক ইন্ধনের অভিযোগও। জনমানসেও বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্ষোভ৷ সেই সঙ্গে চাপ বৃদ্ধি হচ্ছে প্রশাসনের উপর।