ঝাড়গ্রামে পৌর-যুদ্ধ, সম্মুখ সমরে রেড ভলান্টিয়ার প্রতীক মৈত্র ও জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাহাতো

ঝাড়গ্রামে পৌর-যুদ্ধ, সম্মুখ সমরে রেড ভলান্টিয়ার প্রতীক মৈত্র ও জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাহাতো

রাজ্যে আগত পুরসভা ভোট। রাজনৈতিক দল গুলির তরফে ঘোষিত হয়েছে প্রার্থী। মনোনয়ন জমা নেওয়াও শেষ। এখন চলছে প্রচার পর্ব। ঝাড়গ্রাম পুরসভায় সেই প্রচারকে কেন্দ্র করেই ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক উষ্ণতা। কারণ পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সম্মুখ সমরে রেড ভলান্টিয়ার সিপিআই প্রার্থী প্রতীক মৈত্র এবং জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাহাতো।

ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী মোট চারজন। তৃণমূল প্রার্থী অজিত মাহাতো, বাম প্রার্থী সিপিআই এর প্রতীক মৈত্র, বিজেপি-র চন্দনেশ্বর সেনগুপ্ত এবং নির্দল প্রার্থী গায়েত্রী ঘোষ। কিন্তু লড়াই মূলতঃ তৃণমূল প্রার্থী অজিত মাহাতো এবং বাম প্রার্থী সিপিআই এর প্রতীক মৈত্রের মধ্যে। কারণ তৃণমূল প্রার্থী অজিত মাহাতো জেলার রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাবশালী। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কো-অর্ডিনেটরও বটে। ফলে স্থানীয় রাজনীতিতেও যে তাঁর প্রভাব আছে তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে তরুণ প্রার্থী সিপিআই এর প্রতীক মৈত্র এলাকায় একাধিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত। করোনা কালে এলাকায় নিজে রেড ভলান্টিয়ার হিসেবে নেমেছিলেন রাস্তায়। সঙ্গবদ্ধ ভাবে পরিচালনা করেছিলেন করোনা পীড়িত মানুষজনের জন্য রেড ভলেনটিয়ার্সদের ঐক্যান্টিক পরিষেবা। শহরে বামেদের শ্রমজীবী ক্যান্টিন পরিচালনাও হয়েছে তাঁরই ব্যবস্থাপনায়। ফলে রাজনৈতিক মহলের সাথে সাথে শহরে ও ওয়ার্ডের মানুষজনের কাছেও তিনি যথেষ্টই পরিচিত মুখ।

আরও পড়ুন:  Jhargram: লোধাশুলির রাস্তায় বরিয়ার কাছে বাস দুর্ঘটনা, আহত বহু, ঘটনাস্থলে মহকুমা শাসক

ভোট যুদ্ধের আবহে যখন দুই প্রার্থী প্রচার যুদ্ধে নেমেছেন তখন প্রচারকে কেন্দ্র করেও ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। মনোনয়ন পেশ করার পরে সিপিআই প্রার্থী তাঁদের দেওয়াল লিখনের জন্য চুনকাম করা দেওয়াল গুলি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তাঁদের লাগানো প্রচার পোস্টার, ফ্লেক্স সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে তৃণমূল প্রার্থী অজিতের অনুগামী তৃণমূল কর্মী লক্ষ্মী দে ও তাঁর মেয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত পৌলমীকে কেন্দ্র করে।

জানা গিয়েছে, পৌলমী বাম ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এমনকি রেড ভলেনটিয়ার্স ও শ্রমজীবী ক্যান্টিনের সঙ্গেও তিনি যুক্ত। নিজের সমাজমাধ্যমে পেজে বাম প্রার্থী প্রতীকের সমর্থনে পোস্ট দেন তিনি। তারপরই ভাইরাল হয়েছে তাঁর তৃণমূল কর্মী মা, লক্ষ্মী দে এর একটি অডিও। যদিও সংবাদ মাধ্যম বা GNE Bangla র তরফে তার সত্যতা যাচাই করা হয়নি। অডিওটিতে এক মহিলা কণ্ঠকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি তৃণমূল কর্মী। আমি অজিতের লোক। তোমরা আমার মেয়েকে দিয়ে ফেসবুকে লেখাচ্ছ! ও বাচ্চা মেয়ে। এগুলো করতে যেও না। প্রতীক, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তুমি ঢুকতে পারবে না।” এরপরে তাঁর মেয়ের সমাজ মাধ্যম থেকে পোস্টটি মুছে যায়। পৌলমীর দাবি, বাম রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণেই তাঁর পোস্ট। বিতর্কের কারনে তা মুছে দিয়েছেন। আবার বাম প্রার্থী প্রতীক মৈত্রের দাবি, চাপ সৃষ্টি করে পৌলমীকে পোস্ট মোছানো হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী অজিত মাহাতোর আবার অভিযোগ, মা-মেয়ের ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে বাম প্রার্থী।

আরও পড়ুন:  শুভেন্দু অধিকারীকে ‘হনুমান’ বলে বিতর্কিত মন্তব্য প্রসূন বন্দ্যোপাধায়ের

ফলে ভোটের আগেই প্রচারকে কেন্দ্র করেই উষ্ণ হয়ে উঠছে অরণ্যশহরের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল। এখন পর্যবেক্ষণ যোগ্য আগত নির্বাচনে কে কাকে টেক্কা দেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ