রেল, ব্যাঙ্ক, বীমা-সহ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের বেসরকারীকরণ, মূল্যবৃদ্ধি, পেট্রল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে, অসংগঠিত শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা, সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে দু’দিন ব্যাপী দেশ জুড়ে বন্ধের ডাক দিয়েছে বামেদের কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনগুলি। মঙ্গলবার তার দ্বিতীয় দিন। সোমবার রাজ্য জুড়ে ও জঙ্গলমহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়েছিল। মঙ্গলবার বনধের প্রভাব অনেকটাই কম। কোথাও কোথাও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও অধিকাংশ জায়গায় কোনো প্রভাব পড়েনি।
মঙ্গলবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের কাছে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে বাম সমর্থকরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। মেদিনীপুর শহরের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে বাস যাত্রীদের জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বনধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেন। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বচসাও বাঁধে বনধ সমর্থকদের। পুলিশ ৪ জনকে আটকও করেছে।
কলকাতাতে বিভিন্ন জায়গায় বনধ সমর্থকারীদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। বাঘা যতীন মোড়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। শিয়ালদহ বিগবাজার থেকে শিয়ালদা স্টেশন চত্বর ঘুরে কোলে মার্কেট, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, বউবাজার মোড় হয়ে কলেজ স্ট্রিট মিছিল করবে এসইউসিআই। গাঙ্গুলি বাগান মোড়ে অবরোধ হলে ধমঘটীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে নিত্যযাত্রীদের। কসবা সাঁপুইপাড়া পুলিশের সঙ্গে তীব্র বচসা হয় সমর্থকারীদের। ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ তাঁদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ এনেছেন বন্ধ সমর্থনকারীরা।