“আমি ওদের উলঙ্গ করে দেব”, হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

"আমি ওদের উলঙ্গ করে দেব", হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

 

কাঁথির সভা থেকে এক যোগে শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি ও অধিকারীদের উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হুঁশিয়ারি, “দুর্নীতি ইস্যুতে লড়াই হবে, আমি ওদের উলঙ্গ করে দেব।”

দূর্নীতি বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরাসরি আমার নাম নিতে পারে না। বলে, ভাইপো। এই রাজ্যের সবচেয়ে বড় তোলাবাজ, ঘুষখোরের নাম কী? টিভির পর্দায় কাকে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে? সুদীপ্ত সেন কার নামে চিঠি দিয়েছে?” তাঁর চ্যালেঞ্জ, “কথায় কথায় আমাকে তোলাবাজ বলে। আমি ৫-৮ ডিসেম্বর দিল্লি যাব। সংসদ আছে। ১৫ দিন সময় দিলাম। এই কলেজ মাঠে আবার সভা হবে। তুমি তোমার খাতা নিয়ে আসবে। আমি আমার খাতা নিয়ে আসব। আমাদের মধ্যে দুর্নীতি ইস্যুতে লড়াই হবে। আমি ওদের উলঙ্গ করে দেব।”

আরও পড়ুন:  “এখানকার সাংসদ সর্বভুক, তিনি কয়লা খান, বালি খান” : শুভেন্দু অধিকারী

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, “আগামিকাল থেকে ‘বেইমান মুক্ত’ কর্মসূচি পালিত হবে পূর্ব মেদিনীপুরে।” কটাক্ষ, “২০১১ সালে যা আসন পেয়েছিল তার থেকে ২০১৬ এবং ২০২১ সালে বেশি আসন পেয়েছে তৃণমূল। অধিকারী পরিবার ছিল না বলে আমরা বেশি আসন পেয়েছি।” সভাস্থলে আসার সময় মরিশদায় নেমে গ্রামে গিয়ে অভাব অভিযোগ শোনেন অভিষেক। সভা থেকে তার নির্দেশ, “৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মারিশদার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানের ইস্তফা চাই। না ইস্তফা দিলে আইনি ব্যবস্থা নেব এবং সরকারকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা অনুরোধ করব।”

অধিকারী পরিবারকে আক্রমণ করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, এঁদের বিশ্বাস করার জন্য। আমাদের দোষ রয়েছে ওদের ১০ বছর ক্ষমতা দিয়ে রাখার জন্য। আমাদের নেতাদেরও একটা পরিবারের উপর ভরসা না করে গ্রামে গ্রামে যাওয়া উচিত ছিল।” তাঁর কটাক্ষ, “যারা আদর্শ, মূল্যবোধের কথা বলে, তাদের বাড়িতে দুটো তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ বিজেপির সঙ্গে কানামাছি বৌ বৌ খেলছে। বিবেক, মূল্যবোধ, মর্যাদা, সম্মান থাকলে বিজেপির মঞ্চে যাওয়ার আগে ইস্তফা দিয়ে যেতেন।”

আরও পড়ুন:  বাম-বিজেপি জোট সমবায় সমিতির নির্বাচনে, ১২ সদস্যকে বহিষ্কার সিপিএমের

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে দলীয় কর্মীদেরও বার্তা দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, “যাঁরা ভাবছেন মানুষের কথা না শুনে পঞ্চায়েত চালাবেন তাঁদের আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি আর এক বার, আপনাদের টিকিট দেওয়া তো দূরের কথা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসন জেলে ঢোকাবে। এই জেলায় দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। ১৮০ কোটি টাকার টেন্ডার এক জন পেয়েছে। কোনও কাজ হয়নি। আগামীদিনে যারা যোগ্য তারাই দলের প্রথম আসনে বসবে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ