চিফ রিপোর্টার– অর্পণ ভট্টাচার্য্য- অবশেষে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠিত হল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে। দীর্ঘ ৫ বছরের বোর্ডহীন থাকার পরেও জয়ী সদস্যদের গ্রেপ্তারি, দল বদল, কোর্ট কেসকে কেন্দ্র করে সমস্যা জর্জরিত ছিল কেশিয়াড়ি। সোমবার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন সম্পন্ন হল। প্রত্যাশা মতোই বোর্ড গঠন করলো তৃণমূল কংগ্রেস।
২০১৮ সালে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশিয়াড়িতে সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়ে ছিল বিজেপি। কিন্তু এই ৫ বছরের মধ্যেও পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হয়নি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে। তৃণমূল-বিজেপি টানাপোড়েন, হাইকোর্টে মামলা, দলবদল মিলিয়ে সরগরম থেকেছে স্থানীয় রাজনীতি৷ পঞ্চায়েত সমিতির ২৫টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে জিতেছিল বিজেপি ও বাকি ১২টিতে তৃণমূল কংগ্রেস, তারপর ছিল আদালতের নির্দেশ, কিন্তু বোর্ড গঠন হয়নি। বিজেপি সেজন্য আঙুল তুলেছিল শাসক দল তৃণমূলের দিকেই।
এবারের নির্বাচনে ২৭টি আসনের মধ্যে ২৩টি আসনে জয় লাভ করে তৃণমূল। কিন্তু তার পরেও গত ১০ আগস্ট বোর্ড গঠন ভেস্তে যায়। সমিতির সভাপতি হিসাবে ফটিক পাহাড়ি ও উত্তম শীট, দুইজনের নাম উঠে আসে। যা কেন্দ্র করে বিভাজন ঘটেছে সদস্যদের মধ্যে। ফটিক সহ ১৫ জন জয়ী তৃণমূল সদস্য হাইকোর্টে মামলা করেন। তারপর ফের পট পরিবর্তন। ২০১৭ সালে ডাডরা গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ওরফে ঝাড়েশ্বর সাঁতরার খুনের ঘটনায় দিঘা থেকে ফটিক পাহাড়ীকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তিনি ছাড়াও আরও ২ জন জয়ী তৃণমূল সদস্য গ্রেপ্তার হন। দল থেকে বহিষ্কৃত হন ফটিক।
ইতিমধ্যে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির দুই বিজেপি সদস্য অভিজিৎ দাস, ঝর্ণা সিট গত ২৫ আগস্ট দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করেন৷ তৃণমূলের আসন হয় ২৫টি। ফলে সোমবার স্বাভাবিক ভাবেই কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল।