তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় ও মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়িতে হামলার ঘটনায় একাধিক কুড়মি নেতা ও আন্দোলনকারী সহ গ্রেপ্তার হয়েছেন মোট ১১ জন। তারই প্রতিবাদে ও অবিলম্বে মুক্তির দাবি সহ একাধিক দাবিতে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের অফিসার্স ক্লাব মাঠে আয়োজিত হল কুড়মি সমাবেশ।
ঝাড়গ্রাম শহরে নবজোয়ার কর্মসূচির রোড শো শেষ করে লোধাশুলি আসার পথে ঝাড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্গত শালবনী এলাকায় পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়কের উপর কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। “চোর! চোর” স্লোগান সহ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কুড়মি সংগঠনের আন্দোলনকারীরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের শেষের দিকে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়ি ছিল। অভিযোগ, মন্ত্রীর গাড়ি ও কনভয়ের অন্যান্য গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসে ইঁট পাটকেল। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের গাড়িতে লাঠি হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। মন্ত্রীর গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। এই ঘটনায় কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতো সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শালবনীর সভা থেকে হামলার জন্য দায়ি করেছিলেন বিজেপি-কে৷ কিন্তু রাজেশ মাহাতো সহ একাধিক কুড়মি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। ১১ জন গ্রেপ্তার হন। অন্যদিকে কুড়মিদের আন্দোলনকারী ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ সামাজিক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কুড়মি আন্দোলনকে দুর্বল করতে ভুয়ো মামলা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অবিলম্বে মুক্তি, কেন্দ্রের কাছে সিআরআই রিপোর্টের সঠিক জাস্টিফিকেশান পাঠানোর দাবিতে মঙ্গলবার কুড়মিদের তরফে জন সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এইদিন ঝাড়গ্রামে অফিসার্স ক্লাবের মাঠে সমায়েত হয়েছিল হাজার হাজার কুড়মি সমাজের মানুষজন।