Shiksa Ratna : ‘শিক্ষারত্নে’ উজ্জ্বল মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, ২ শিক্ষক ও অধ্যক্ষা সম্মানিত হবেন শিক্ষক দিবসে

Shiksa Ratna : 'শিক্ষারত্নে' উজ্জ্বল মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, ২ শিক্ষক ও অধ্যক্ষা সম্মানিত হবেন শিক্ষক দিবসে

শিক্ষারত্নে উজ্জ্বল জঙ্গলমহল। সৌজন্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার শহীদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা ড. রূপা দাশগুপ্ত, গোবিন্দপুর মকরামপুর স্বর্ণময়ী শাসমল শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার মহান্তি এবং ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া কেসিএম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হলেন সুব্রত মহাপাত্র। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে তাঁদের সম্মানিত করা হবে ‘শিক্ষারত্ন ২০২৩’ সম্মানে।

শিক্ষা হোক বা খেলাধুলো কিংবা সাংস্কৃতিক মঞ্চ, সমস্ত ক্ষেত্রেই উজ্জ্বল উপস্থিতি জঙ্গলমহলের। সেই খতিয়ানে নবতম সংযোজন ‘শিক্ষারত্ন ২০২৩’ সম্মাননা। নারায়ণগড় ব্লকের মকরামপুর এলাকায় অবস্থিত গোবিন্দপুর মকরামপুর স্বর্ণময়ী শাসমল শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার মহান্তির জগৎ স্কুলকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। স্কুলের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য তিনি প্রখ্যাত ক্রিকেটার তথা শচীন তেন্ডুলকরেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ তাঁর কর্তব্য নিষ্ঠার প্রতি সম্মান জানিয়েই দেওয়া হতে চলেছে শিক্ষারত্ন সম্মান।

আরও পড়ুন:  Medinipur : সাইবার ক্রাইমের সচেতনতা শিবির আলিগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ে

অন্যদিকে ড. রূপা দাশগুপ্ত রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রানীবিদ্যা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তারপর অধ্যাপনা কালেই গবেষণা শেষ করে পিএইচডি সম্পূর্ণ করেন। ২০১৮ সালে তিনি ডেবরার শহীদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কলেজে যোগদানের পর পরিকাঠামো ও শিক্ষার উন্নয়নকেই গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত এই কলেজের স্নাতক স্তরের ফলাফল যথেষ্ট ভালো। এবারের শিক্ষারত্ন হিসাবে তাঁর অন্তর্ভুক্তি আসলে তাঁর দায়িত্ব বোধের সম্মাননা।

আরও পড়ুন:  Jhargram Train : সুখবর! ঝাড়গ্রামেও দাঁড়াবে এক্সপ্রেস, জানুন বিস্তারিত

২০০১ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়া কৃষ্ণচন্দ্র স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে যোগ দেন সুব্রত মহাপাত্র। সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ২০০৯ সাল থেকে। বর্তমানে মেদিনীপুর শহর তাঁর বাসস্থান হলেও সপ্তাহে ৩-৪ রাত কাটে স্কুলেরই ছাত্রাবাসে। স্কুলের এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে তাঁর উপস্থিতি। রাজ্যের প্রথম কন্যাশ্রী পাঠাগার তাঁর উদ্যোগেই শুরু হয়। স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবকে সঙ্গে নিয়ে ৮ জন নাবালিকার বিয়ে আটকেছেন। এক দৃষ্টিহীন ছাত্রীর আজীবন পড়াশোনার খরচের দায়িত্বও তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে। শিক্ষকতার দায়িত্ব তাঁর কাছে শুধুমাত্র পেশা নয়, কর্তব্য-যাপন।

 

হোম
জয়েন গ্রুপ
স্থানীয় খবর
জয়েন গ্রুপ
গুগল নিউজ