চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য্য
পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলায় ক্রমশ ডেঙ্গি (Dengue) প্রভাব বিস্তার করছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে রোগের প্রকোপ সর্বাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে৷ গত ২ সেপ্টেম্বর ও ১৫ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর শহরের (Medinipur) দুই বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছিল। এরপর বুধবার ও বৃহস্পতিবার পরপর মৃত্যুতে ডেঙ্গিতে জেলায় মৃতের (Dengue Death) সংখ্যা এখন ৪ জন। অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯০০। এই পরিস্থিতিতে জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH)। জ্বর হলে অবহেলা না করতে এবং কোয়াক ডাক্তার দেখিয়ে সময় নষ্ট না করতে উপদেশ দিয়েছেন তিনি।
জেলায় ডেঙ্গির ক্রমবর্ধমান প্রকোপ নিয়ে সিএমওএইচ বলেন, “বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৯৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আক্রান্তের হার ক্রমশ নিম্নগামী। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি।” মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেন, “দুটো মৃত্যুর ক্ষেত্রেই প্রথমে কোয়াক ডাক্তারের হাতে চিকিৎসা হয়েছিল। উপযুক্ত সময়ে সঠিক চিকিৎসা পাননি।” তিনি আরও বলেন, “আমরা নজরদারি রেখেছি, সমস্ত রকম সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। পৌরসভা ও প্রোমোটারদের সাথে বৈঠক করা হচ্ছে যাতে কোনও জায়গায় জল না জমে, মশা বাড়তে পারে এধরণের পরিবেশ যাতে না থাকে, যাতে পর্যাপ্ত কীটনাশক স্প্রে করা হয়। আশা করছি, আরও ৪ সপ্তাহ যদি আমরা সতর্ক ভাবে কাটাতে পারি নভেম্বর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমবে৷”
জেলাবাসীদের ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, “আপনারা আক্রান্ত হলে দেরী করবেন না। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করলে মৃত্যু হয়না, কিন্তু অনেকেই দেরী করছেন। জ্বর ২ দিনের বেশি হলেই রক্ত পরীক্ষা করান।” তিনি জানিয়েছেন, জেলার ৭টি জায়গায় এখন ডেঙ্গি পরীক্ষা হচ্ছে – মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, খড়গপুর, ঘাটাল, বেলদা এবং মেদিনীপুর পুরসভা ইউপিএসসি, খড়গপুর গিরি ময়দান এবং ঘাটাল ইউপিএসসি। সিএমওএইচ আরও বলেন, “৯৫% ক্ষেত্রে ডেঙ্গি সাধারণ ভাইরাল জ্বরের মতো, আসে চলে যায়। ৫% ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন হয়। আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোয়াকের পাল্লায় পড়বেন না, বাড়িতে শুয়ে শুয়ে মৃত্যুবরণ করবেন না।”